![]() |
মো: মনিরুল ইসলাম, কুতুবদিয়া:>>>
বাংলাদেশ
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ৭১ ফোল্ডারের বড়ঘোপ ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দঃ
মুরালিয়া এলাকায় গত অমাবস্যার জোয়ারে প্রায় ২৫ চেইন বেড়ীবাঁধ বিলিন হয়ে
ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়। এসময় প্রায় ১৫শত পরিবার শত শত হেক্টর ফসলী জমি,
ছোট বড় ১ হাজার মৎস্য ঘের তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক কয়ক্ষতি হয়। আসন্ন পূর্ণিমার
জোয়ারের পানি ঠেকাতে বড়ঘোপ ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও কুতুবদিয়া
প্রেসক্লাবের সভাপতি আ.ন.ম শহিদ উদ্দীন ছোটন ব্যক্তিগত উদ্যোগে সেচ্ছাশ্রমে
ব্যাপক কর্মকাণ্ড হাতে নেয়। গতকাল শনিবার (১০জুলাই) সকালে সরে জমিনে
পরিদর্শনে গেলে চোখে পড়ে বেড়ীবাঁধ নির্মাণের কাজ। ইউপি চেয়ারম্যান নিজে
উপস্থিত থেকে কাজগুলো তদারকি করছেন। প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ব্যয়ে ২৫ চেইন
ভাঙ্গা বেড়ীবাঁধ বাঁশের ডোল বানিয়ে প্লাস্টিক ব্যাগে মাটি ভর্তি করে ডোল
দ্বারা ভাঙ্গা বাঁধ নির্মাণ করছেন। প্রায় ১শত জন শ্রমিক ১২০টি ডোলে ৯০
হাজার প্লাস্টিকের ব্যাগ মাটি দ্বারা ভর্তি করে আসন্ন পূর্ণিমার জোয়ারের
পানি ঠেকাতে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে।
এব্যাপারে
বড়ঘোপ ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান আ. ন.ম শহিদ উদ্দীন ছোটন জানায়,
বড়ঘোপ ইউনিয়নের দঃ মুরালিয়া গ্রামে ঘরবাড়ি চাষাবাদ রক্ষার্থে আসন্ন
পূর্ণিমার জোয়ারের পানি ঠেকাতে পারব ৭১ ফোল্ডারের ২৫ চেইন বিলিন হওয়া
বেড়ীবাঁধ ব্যক্তিগত উদ্যোগে সেচ্ছাশ্রমে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ব্যয়ে ১২০টি
বাঁশ দ্বারা ডোল নির্মাণ করে ৯০ হাজার প্লাস্টিক ব্যাগে মাটি ভর্তি করে
ভাঙ্গা বেড়ীবাঁধ নির্মাণ করে পানি ঠেকানো হবে। এছাড়াও মুরালিয়া গ্রামসহ
ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেকটি পরিবারে সরকারী, এনজিও এবং ব্যক্তিগত ত্রান সামগ্রী
পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে একটি এনজিও সংস্থা কিছু ত্রান সামগ্রী এবং ৫০
হাজার খালি ব্যাগ সরবরাহ করছে।
৯ নং স্লুইচ গেইট তিন
বছর যাবত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ঐ এলাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ
করছে। গেইটটি খুব দ্রুত নির্মাণ করার জন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের
সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এদিকে,
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও বড়ঘোপ ইউনিয়নের
নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আ.ন.ম শহিদ উদ্দীন ছোটন এ দু’জনপ্রতিনধির মহৎ
প্রচেষ্টায় নির্মিতব্য ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ গত শুক্রবার পরিদর্শণ করেছেন
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
সু-প্রভাত চাকমা। স্থানীয় অন্যান্য জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও
অপরাপর এনজিও সংস্থা সমূহ এ ভাবে এগিয়ে আসলে উপজেলার অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ
বেড়িবাঁধও রক্ষা করা সম্ভব বলে মনে করেন উন্নয়ন গবেষক মহল।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ




No comments:
Post a Comment