এম এ হাসান, কুমিল্লা:
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নে ১০ এপ্রিল দিনগত রাত প্রায় ৩ টায় ইউনিয়নের বলহরা গ্রামের একই পরিবারের আবুল কাশেম ও সাদেক মাষ্টার এর গোয়াল ঘরে থাকা আড়াই লক্ষ টাকা মূল্যের ২ টি গরু ও প্রায় ৩০ হাজার টাকা মূল্যের ২ টি ছাগল চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞাত চোর চক্র।
কিন্তু উক্ত চুরি হওয়ার পরই নিখোঁজ হয়ে যায় তাদের গোয়াল ঘরে থাকা কর্মচারী বগুড়া সদর এলাকার রিমন নামের ছেলেটি।আজ ১১ই এপ্রিল শনিবার গোপন সংবাদ এর মাধ্যমে গরুর মালিক গন জানতে পারে রিমন সদর দক্ষিণ উপজেলার লামপুর গ্রামে লুকিয়ে আছে।
উক্ত সংবাদ এর মাধ্যমে এলাকার স্থানীয় ব্যক্তিদের সহযোগিতায় লামপুর গ্রাম থেকে রিমন কে আটক করে স্থানীয় উজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদে হাজির করা হয়।
উপস্থিত স্থানীয় চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সামনে উক্ত চুরি হওয়ার বিষয় টি সে স্বীকার করে এবং সাথে থাকা সকল চোর চক্রের নাম প্রকাশ করে।
এসময় আটককৃত চোর এই চুরির ঘটনায় জড়িত থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে সহযোগিতা প্রদানকারী হিসেবে স্থানীয় উজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল খাজা মেম্বার এর নাম প্রকাশ করে।
এসময় উপস্থিত ইউপি সদস্য বিষয় টি তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে মন্তব্য প্রকাশ করেন।এই বিষয়ে স্থানীয় উজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম এর সাথে আমাদের প্রতিনিধি মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি আটককৃত চোর এর বিষয় টি নিশ্চিত করেন এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল খাজা মেম্বার এর নাম আসার বিষয় টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার ব্যক্তিগত মতে এটি বিশ্বাস যোগ্য নয় কেননা ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল খাজা এমন প্রকৃতির লোক নয়,কিন্তু হটাৎ ই একজন চোর এর এলোমেলো জবানবন্দি তে আমরা তা শতভাগ নিশ্চিত নয়।কিন্তু তারপরও আটককৃত ব্যক্তির জবানবন্দির বিষয় টি আমাদের পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন খোরশেদ নিকটস্থ চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ বরাবর বিষয় টি অবহিত করেছেন।
এই বিষয় টি জানতে আমাদের প্রতিনিধি মুঠোফোনে আলাপকালে ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল খাজা মেম্বার বলেন এটি পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমাকে ফাসানোর জন্য তাকে দিয়ে নাম টি বলিয়েছে কেননা গরুর মালিক এর সাথে আমার সামাজিক একটি কারনে সম্পর্ক ভালো নয়।কিন্তু আমি আমার ইউনিয়ন পরিষদে সকলের সামনে বিষয় টি নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেছি পাশাপাশি যদি আমি এঘটনা সহযোগিতার বিষয় টি প্রমাণিত হয় আমাকে যে সাজা দেওয়া হবে আমি তা মাথা পেতে নিবো।
এই বিষয় টি নিয়ে স্থানীয় চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ এর সাথে আলাপকালে তিনি উক্ত ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন আমাকে ইউপি চেয়ারম্যান বিষয় টি জানিয়েছেন এবং উক্ত ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয় টি তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী তে বিস্তারিত জানানো হবে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment