আমার
 ও পরানে যাহা চায় তুমি...ফোনের রিংটোন। কিছুখন ধরে আমার ফোনটা বেজেই 
যাচ্ছে। ফোনটা হাতে নিয়ে দেখলাম কে কল করলো যার নাম দেখলাম মেজাজ খারাপ হয়ে
 গেলো।
আবার ও কল দিছে এবার ধরলাম, আমি: কুত্তা কি হইছে তোর জন্য কি 
শান্তিতে ঘুমাতেও পারবো না। অপর পাশে: ঘুমাবি পরে আছরের আজানের আগে তোকে আর
 তোর কুত্তী কে নিয়ে কলেজ মাঠে আসবি। আমি: আইছে, মামু বাড়ি আবদার। অপর 
পাশে: তারাতাড়ি আসবি বলেই কল কেটে দিলো।
এতোখন যার সাথে কথা বললাম সে হলো 
আমার ফ্রেন্ড রায়হান আর যে কুত্তীর কথা বলেছে সে পরী সেও ফ্রেন্ড আর আমি 
মনি। আমি: দুর ভালো লাগে না এতো সুন্দর ঘুমটা আমার শেষ। দেখি পরীকে কল 
দিয়ে।
পরী: কিরে আজ হঠাৎ তুই কল দিলি।এমনিতে আমি কল দিলে তাও তোকে পাওয়া 
যায় না। আমি: আজাইরা কথা বাদ দিয়ে তারাতাড়ি তৈরি হয়ে কলেজের মাঠে আয়। পরী: 
কেনো কি হয়েছে। আমি: আয় তারপর বলবো বলেই কল কেটে দিলাম। ১০ মিনিট পর কলেজের
 গেটে গিয়ে পরীকে কল দিলাম।
আমি: কিরে কই তুই। পরী: আমি কলেজের মাঠে তুই 
সামনে তাকা বইন একটু। আমি: সামনে তাকিয়ে দেখি বসে আছে ঘাসের উপর পরী। পরী: 
কিরে হঠাৎ এখানে ডাকলি কোনো সমস্যা। আমি: না আমার সমস্যা না কোনো তোদের 
সমস্যা। পরী: কেনো রায়হান কিছু বলছে।
এর মধ্যে রায়হান এলো এসে আমার পাশে 
বসলো পরী ও রায়হানের মাঝখানে আমি বসা। পরী: ও এখানে কি করে। তুই থাক আমি 
যাই। আমি: একটু বস কাজ আছে। রায়হান : মনি ওরে বল রাগ করছে কেন আমার সাথে। 
আমি: কিরে পরী রাগ করছো কেন ওর সাথে। পরী: ওরে বল হঠাৎ ফোন বন্ধ করছে কেন। 
আমি: রায়হান তুই নাকি ফোন বন্ধ করছো হঠাৎ।
রায়হান: তাকে বলে দে ফোনে চার্জ 
ছিলো না তাই বন্ধ হয়ে গেছে। আমি ইচ্ছে করে বন্ধ করিনি। পরী: বুজছি। রায়হান :
 বুজলে ভালো, এখন ওরে জিগা কাল বিকালে কার সাথে কথা বলছে।
পরী: বলে দে 
আম্মু কল দিছিলো। আমি: আরে বাবা তোরা দুজনে এ বিষয় নিয়ে কথা বলে মিটিয়ে 
নিলেই তো হতো মাঝখানে আমাকে রেখে আমার মাথা ধরাস কেন তোরা। পরী: তুই চুপ 
থাকতো। আগে ওরে সরি বলতে বল। রায়হান : কেনো শুধু শুধু সরি বলবো। আমি: আরে 
বলে দে তোদের দুজনের কথা দুই কান দিয়ে শুনতে শুনতে কান শেষ হয়ে যাবে।
পরী: 
সরি না বললে আর কথাই বলবো না ওর সাথে। রায়হান : ওকে বলতেছি সরি পরী: ঠিক 
আছে আমি: এখন আমি যাই প্রচুর ঘুম পেয়েছে তোদের জন্য ঘুমাতে পারলাম না। 
রায়হান : যা ভাগ হগুন। আমি: আবার কিছু হলে আমাকে ডাকিস তখন দেখবো কে আসে। 
পরী: যা যা হপালে যা।
আমি ওদের কাছ থেকে চলে আসলাম কিছুদূর এসে দেখি আমার 
যানে মান বেষ্টু সুরাইয়া। আমি: ওই পেত্নি গেছিলি কই। সুরাইয়া : ঘুরতে 
আসছিলাম আন্টিকে নিয়ে। রায়হান আর পরীকে দেখলাম মনে হয়। আমি: হুম ওদের 
জন্যইতো আসা পাগল দুইটায় আবার মান অভিমান করেছিলো। আর তা মিটাতে আমার কানের
 বারোটা বাজছে।
সুরাইয়া: কিভাবে সহ্য করিস এতো বকবকানি ওদের। আমি: একটু 
নাহয় ওদের বকবকানি আমি সহ্য করে নিলাম তবুও যেনো বেঁচে থাকে পাগল দুইটার 
ভালোবাসা। সুরাইয়া : তুই পারিস ও বটে।।।আচ্ছা টাটা আন্টি ডাকতেছে। আমি: ওকে
 পেত্নী। তারপর আমি আমার গন্তব্য স্থলে রওনা দিলাম। আমার যে বাসায় ফিরে 
ঘুমাতে হবে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ 
 
 

 


 

.jpg) 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
No comments:
Post a Comment