ঝিনাইদহের ঐতিহ্যবাহী শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়টি শিক্ষকদের দ্বন্দ্বে ধ্বংসের মুখে। একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Saturday 27 April 2019

ঝিনাইদহের ঐতিহ্যবাহী শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়টি শিক্ষকদের দ্বন্দ্বে ধ্বংসের মুখে। একুশে মিডিয়া


রবিউল ইসলাম, ঝিনাইদহ:>>>
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আভ্যন্তরিণ দ্বন্দ্বের কারণে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি আজ ধ্বংসের মুখে। ২০১৭সালের ৪জুলাই প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার পর থেকেই শিক্ষকদের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
অভ্যন্তরিন কোন্দলে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে কোন শৃঙ্খলা নেয়, প্রধান শিক্ষকের আদেশ নির্দেশ ঠিক ভাবে পালন করেন না কেউই, ছাত্রী উপস্থিতি ব্যাপক হারে কমে গেছে। সরেজমিনে স্কুলে গিয়ে জানা যায় প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকরা একে অপরের বিরুদ্ধে ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপসহ বিভিন্ন অনিয়মের কথা তুলে ধরেন।

এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়ার্দ্দার জানান আমার নিয়েগের পর থেকে স্কুলের ছাত্রীদেও সার্বিক উন্নয়ন ও  শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টিতে ব্যাপক ভাবে অগ্রগতি হয় কিন্তু একটি পক্ষ একের পর এক বে-আইনি ভাবে আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসনিক নিয়ম কানুন মেনে চলছে না। তিনি আরও জানান আমার অনুপস্থিতির সুযোগে সম্পুর্ন বিধি বহির্ভূত ভাবে বিদ্যালয়ের কমোলমতি ছাত্রীদের জোর করে রাস্তায় দাড় করিয়েছে, যদি আমি কোন অপরাধ করি তাহলে বিদ্যালয়ের সভাপতি আছেন, উপজেলা, জেলা শিক্ষা অফিসার আছেন তাদের নিকট বিষয়টি অবগত করাতে পারতেন কিন্তু তা না করে কয়েকজন সহকারী শিক্ষক কতিপয় ব্যক্তির ইন্ধনে আইন হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্ঠায় করছেন।
তিনি আরও জানান এই বিদ্যালয়ে আমি যোগদান করার পর শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নিরীক্ষা শাখা, শিক্ষা বোর্ড, দুদকসহ বিভিন্ন সংস্থার দ্বারা ১১টি অডিট পরিচালিত হয়েছে তাতে কোন ধরনের অর্থনৈতিক অনিয়ম আমার বিরুদ্ধে প্রমান করতে পারেননি।
এবিষয়ে ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রীর অভিভাবক দেলোয়ার হোসেন, ৬ষ্ট শ্রেণীর এক ছাত্রীর অভিভাবক আনিছুজ্জামান এবং ৯ম শ্রেণীর এক ছাত্রীর অভিভাবক আক্কাছ আলী জানান স্কুলে শিক্ষকদের মধ্যে এই দ্বন্দ্বের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়া লেখায় ব্যাপক বিঘœ ঘটছে।
আমাদের মেয়েরা কেন আজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে রাস্তায় দাড়াবে? তারা এই দ্বন্দ্বের নিরসন করে বিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। বিদ্যালয়ের সভাপতি তৈয়বুর রহমান খান জানান আমি মাত্র তিন মাস সভাপতি হয়েছি সবাইকে নিয়ে চলার চেষ্টা করছি।
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধের কোন অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে সত্য প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয় হবে। গত ৩এপ্রিল স্কুলের ছাত্রীদের নিয়ে যে মানববন্ধন করেছে তা আমাকে জানান হয়নি, এটি যেই করুক আমাকে না জানিয়ে করা ঠিক হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন। স্কুলের অন্য শিক্ষক কর্মচারীরাও যদি কোন অপরাধ করে থাকে তাদের বিরুদ্ধের কমিটির মাধ্যমে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।




একুশে মিডিয়া/এমএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages