পেকুয়ায় মানব পাচার মামলার আসামী চট্টগ্রামে স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Thursday 17 October 2019

পেকুয়ায় মানব পাচার মামলার আসামী চট্টগ্রামে স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার



এইচ এম শহীদ কক্সবাজার থেকে:>>>
কক্সবাজার পেকুয়া উপজেলা  থেকে  গার্মেন্টসে চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে পতিতালয়ে বিক্রি করে দিয়েছে এক দম্পতি। পুলিশ অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম শহরের বাকলিয়া ভেড়া মার্কেট এলাকার এক ভাড়া বাসা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। এ সময় অভিযুক্ত জনুয়ারা বেগম (৩৪) ও তার স্বামী শাহাব উদ্দিন (৪০) নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে পেকুয়া থানার এসআই সুমন সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। এর আগে (১৬ অক্টোবর) কিশোরীর পিতা উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাবেকগুলদী সরকারীঘোনা গ্রামের ফজল করিম বাদি হয়ে গ্রেপ্তারকৃত ওই দুইজনের বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় একটি মামলা (০৫/১৯) দায়ের করেন। পেকুয়া থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুমন সরকার জানায়, গত ১০দিন পুর্বে কিশোরীকে গার্মেন্টসে চাকুরী দেয়ার কথা বলে চট্টগ্রামে নিয়ে যায় জনুয়ারা বেগম। সদর ইউনিয়নের সিকদার পাড়া গ্রামের মৃত,আবুল হোসেনের ছেলে শাহাব উদ্দিন ও তার স্ত্রী জনুয়ারা বেগম চট্টগ্রাম শহরের বাকলিয়া ভেড়া মার্কেট এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল। ভাড়া বাসায় তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে পতিতালয় ব্যবসা শুরু করে। কিশোরীকে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে শহরে নিয়ে গিয়ে দালালের মাধ্যমে পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়। বাসায় বিভিন্ন বয়সের আরো ৫/৬জন মহিলা রয়েছে। মোটা টাকার চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামের সহজ সরল মহিলাদের টার্গেট করে জনুয়ারা। পরে শহরে নিয়ে গিয়ে কৌশলে বেইশ্যাবৃত্তি ব্যবসায় নামাতে বাধ্য করে। তিনি জানায়, তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশকে অনেক কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছে। টানা দুইদিন কষ্ট করে কিশোরীকে উদ্ধার করি। আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। মামলার বাদি ফজল করিম জানায়,গরিরের সংসার আমার। বেশি টাকার চাকুরীর কথা বলে জনুয়ারা বেগম মেয়েকে ১০দিন আগে শহরে নিয়ে যায়। এরপর মেয়ের সাথে আমাদের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। শুনেছি মেয়ে গার্মেন্টসে চাকুরী করেনা। একটি পতিতালয়ে বিক্রি করে দিয়েছে তাকে। মেয়েকে উদ্ধারের জন্য থানায় মামলা করেছি। গ্রেপ্তারকৃত শাহাব উদ্দিন জানায়, আমি ৫বছর আগে গ্রাম ছেড়ে শহরে এসেছি। রাজমেস্ত্রীর কাজ করি। স্ত্রী জনুয়ারা পেকুয়ায় থাকে। স্ত্রীর সাথে আমার বনিবনা চলছে অনেক আগে থেকে। কয়েকদিন আগে পেকুয়ার এক মহিলাকে নিয়ে বাসায় এসেছিল জনুয়ারা। দুইদিন বাসায় থেকে চলে গিয়েছিল। এরপর কি হয়েছে আমি কিছু জানিনা। পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) কামরুল আজম জানায়,পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে। জড়িত স্বামী-স্ত্রী দুইজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। মোবাইল ট্রেকিং এর মাধ্যমে এসআই সুমন সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ আইন ও বেইশ্যাবৃত্তির উদ্দেশ্যে পতিতালয়ে বিক্রির অপরাধে থানায় মামলা রেকর্ড হয়। তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages