শৈলকুপায় গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Saturday 30 November 2019

শৈলকুপায় গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ




একুশে মিডিয়া, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ১নং ত্রিবেনী ইউনিয়নের হতদরিদ্র গৃহহীনদের ‘জমি আছে ঘর নাই’ এই প্রকল্পের আওতায় ঘর নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক দরিদ্র শ্রমিকের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের বিরুদ্ধে।
ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ত্রিবেনী গ্রামের ঋষি পাড়ায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রায় ৩০জন হতদরিদ্র ব্যক্তির নিকট থেকে সরকারী বরাদ্ধের ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ১৫ হাজার করে  টাকা নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা এমনকি চৌকিদারের চাকুরী দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও অনেকের নিকট থেকে ৪হাজার থেকে ২৫হাজার টাকা পর্যন্ত  হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ত্রিবেনী গ্রামে যাদের কাছ থেকে ঘর নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৫ হাজার করে টাকা নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে বিপুল দাস, পিতা-মৃত বেনুপদ দাস, বলাই কুমার দাস, পিতা-কুমার পদ দাস, পরিতোষ কুমার দাস, পিতা-কুমারেশ দাস, নিত্য কুমার দাস, পিতা-সুবল দাস, বিঞ্চু কুমার দাস, পিতা মৃত সুবল দাস, স্বপন দাস, পিতা-মৃত শুম্ভ দাস। এছাড়া শাহিনুর, পিতা-সিরাজুল এর নিকট থেকে ১২হাজার টাকা, দিপালি খাতুন , পিতা- মৃত রমজান আলী এর নিকট থেকে ১৫হাজার টাকা, আব্দুল বারী মন্ডলের নিকট থেকে ঘর এবং বয়স্ক ভাতা দেওয়ার কথা বলে ২১হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ১নং ত্রিবেনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম খাঁ একান্ত সহচর ত্রিবেনী গ্রামের আফজাল মন্ডলের ছেলে নাসির উদ্দীন ও সিরামপুর গ্রামের এক মহিলা মেম্বরের ছেলে নাসির। 
এছাড়া চেয়ারম্যানের ভাতিজা নাজমুল প্রতিবন্ধী ইমারতের ছেলে আসিকের প্রতিবন্ধী কার্ডের জন্য নিয়েছে ২হাজার ৯শত টাকা। বিধবা ভাতার কার্ড করে দেবে বলে চেয়ারম্যানের আরএক সহযোগী বাপ্পারাজ জামিলা খাতুনের নিকট থেকে ৪হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এমনকি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম নিজেও একই গ্রামের মৃত নাসির উদ্দীনের বিধবা স্ত্রীর নিকট থেকে বিধবা ভাতার কার্ড করে দেবে বলে ৫হাজার টাকা নিয়েছে বলে জানা গেছে। এসব টাকা দেড় থেকে দুই বছর আগে লেনদেন হলেও এখনো কাউকে কোন সুবিধা দেওয়া হয়নি বলে এলাকাবাসী ফুঁসে উঠেছে।
এবিষয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া ত্রিবেনী গ্রামের নাসির উদ্দীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সরাসরি কোন উত্তর না দিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলতে বলেন। সিরাম গ্রামের অপর নাসিরকে ফোনে পাওয়া যায়নি। 
বিষয়টি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম খাঁ বলেন বিষয়টি সম্পর্কে আমার নিকট কেউ অভিযোগ করেনি। নাসিরদের আমি চিনি তাদের সাথে আমার সম্পর্ক আছে। ঋষি পাড়ার অভিযোগতো, কেউ চাপ দিয়েও কথা বলাতে পারে সব অভিযোগ সত্য নয়। আপনাদের সাথে দেখা হলে বিষয়টি বিস্তারিত জানাবো বলে জানান।




একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages