এনামুল কবির মুন্না:>>>
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার আজম পুর খেয়া ঘাট ইজারাদারদের বিরুদ্ধে টোল আদায়ের নামে ব্যাপক চাঁদাবাজী অভিযোগ উঠেছে।আজম পুর খেয়া ঘাটে চাঁদাবাজদের সীমাহীন অত্যাচারে চরম ভাবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে কয়েকটি উপজেলার হাজার হাজার মানুষ।
সূত্রে জানা গেছে,খেয়াঘাটটি জেলা পরিষদে কাছ থেকে নির্র্দিষ্ট হারে টোল আদায়ের জন্য ইজারা দেওয়া হয়। যাত্রীদের কাছ থেকে ২টাকা করে টোল আদায়ের কথা থাকলেও ইজারাদারদের ইচ্ছে মত আদায় করছে টোল। এ নিয়ে যাত্রী ও ইজারাদের মধ্যে প্রতিনিয়ত ভাগবিতান্ড ও হাতা হাতির ঘটনা ঘটছে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে দোয়ারাবাজার আজম পুর খেয়া ঘাটের চাঁদা আদায়ের ব্যাপারে চলছে সমালোচনায় ঝড়।
বিভিন্ন ফেইসবুক আইডি থেকে ভুক্তভুগিদের পক্ষে আজম পুর খেয়া ঘাটের অনিয়ম চাঁদা বাজদের বিরুদ্ধে লিখে আসছেন। এদের হাত থেকে প্রতিকার পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অনেকেই।দোয়ারাবাজার উপজেলার আজম পুর ঘাটের অনিয়মের ঘটনা গণমাধ্যমে তুলে ধরার জন্য বিষেশ অনুরোধ করেন। তারা বলেন,আজম পুর খেয়া ঘাট দিয়ে
দোয়ারাবাজার নয়টি ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন জেলার উপজেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন দোয়ারা আজম পুর খেয়া ঘাট দিয়ে যাতায়াত করেন। বিষেশ করে এই উপজেলার সাথে সুনামগঞ্জ জেলার বেশির ভাগ লোকই যাতায়াত করতে হয়।
ইজারাদারা যাত্রীদের কাছ থেকে ইচ্ছে মত টোল আদায় করে থাকে বলেও অভিযোগ উঠেছে। টাকা কম হলেই যাত্রীদের দূব্যবহার ও হাতের ব্যাগ নিয়ে টানা টানি শুর করে বলেও অনেকের অভিযোগ।সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, যাত্রীদের সাথে থাাকা ব্যাগ, আইপি এস এর ব্যাটারি, কাঠ, টিন, বড়, সিমেন্ট সহ বিভন্ন মালামা থেকে ইজারাদাররা তাদের ইচ্ছে মত টোল আদায় করছে।
ইজারাদারদের দাবিকৃত টাকা (চাঁদা) না দিলেই শুরু হয় যাত্রীদের হয়রানি ও নির্যাতন। যদি বিদেশ থেকে কোন লোক দেশে আসে, আর ইজারাদারদের নজরে পড়লেই আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠে তার। বিদেশ ফেত যাত্রীদের কাছ থেকে ৮/১০ হাজার টাকা দাবি করে বসে। চাঁদা বাজদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে নানা ভাবে হয়রানি করা হয়।
যাত্রীদের ব্যাগ নিয়ে করে টানা টানি। চাঁদাবাজরা প্রভাব খাটিয়ে অনেক যাত্রীকে শারীরিক ভাবেও নির্যাতন করে থাকেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে দোয়ারাবাজার উপজেলার একাধীক ব্যক্তি জানান, মটর সাইকেল থেকে ২০ থেকে ৫০ টাকা এবং রাত আটার পরে মটর সাইকেল পারাপার করতে চাইলে তাদের টাকার অংকটা ও বেড়ে যায় ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, গত দুই মাস আগে দোয়ারাবাজার উপজেলা নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি তাইজুল ইসলাম উপজেলা খেয়াঘাটের ইজারা বাতিল ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ডাক দিয়ে ছিলেন কর্মসূচির আগেই ইজারাদার ভাড়ার তালিকা অনুযায়ী টাকা আদর করছেন। কিন্তু আজম পুর খেয়াঘাটে যাত্রী ভোগান্তি চরমে ওঠেছে।
এই বিষয়ে ইজারাদারদার(মালিক)মাধব রায়কে প্রতিবেদক ফোন দিলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়া মাত্র ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেনি,এজন্য ইজারাদারদারের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা নিকট এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment