একুশে মিডিয়া, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:>>>
বাঁশখালীর সাধনপুর ইউনিয়নের বাণীগ্রাম লটমনি পাহাড়ি এলাকায় র্যাব-৭ এর একটি দলের সাথে ডাকাতদলের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে । শনিবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে সংগঠিত বন্দুকযুদ্ধে সাগরে ৩১ জেলে হত্যা মামলাসহ ১৯ মামলার আসামি ও বাঁশখালীর শীর্ষ ডাকাত সর্দার মোর্শেদুল আলম (৩২) নিহত হয়েছে ।
সে বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউপির ২ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম চাম্বল এলাকার মৃত ছিদ্দিক আহমেদের পুত্র । তাছাড়া ঘটনাস্থল হতে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ওয়ান শুটারগান, ১টি থ্রী-হুলার এলজি ও ৪টি রামদাসহ ১৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে র্যাবের অভিযানকারী দল। নিহত ডাকাত মোরশেদ এর বিরুদ্ধে হত্যা,অস্ত্র, চাঁদাবাজি, ভুমি দখল ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন থানায় ১৯ টি মামলা রয়েছে বলে জানাযায় ।
এদিকে ডাকাত প্রধান নিহতের ঘটনায় চাম্বল ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষের মাঝে আনন্দ পরিলক্ষিত করা গেছে । তার মৃত্যুতে চাম্বলে মিষ্টি বিতরণ করছেন স্থানীয়রা।
র্যাব সূত্রে জানাযায়, র্যাব-৭ এর নিয়মিত টহল দল বাঁশখালীর প্রধান সডকের সাধনপুর লটমনি এলাকায় পৌছলে পাহাড়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে একদল ডাকাত এমন তথ্য পান তারা। এরই প্রেক্ষিতে ডাকাতদলের অবস্থান নির্ণয় করে অভিযানে গেলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষন করে ডাকাতদল।
র্যাব ও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। একপর্যায়ে ডাকাতদলের সদস্যরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল হতে এক ডাকাতের মৃতদেহ সহ দেশি-বিদেশি ৪টি অস্ত্র, ৪টি রামদা ও ১৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে র্যাব । পরে স্থানীয়রা মৃত যুবকের লাশ মোর্শেদ ডাকাতের বলে নিশ্চিত করেন। রাতেই ঘটনাস্থল হতে বাঁশখালী থানা পুলিশ ওই ডাকাতের লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে ।
ডাকাতদলের সাথে বন্দুকযুদ্ধ ও অস্ত্র উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর বহদ্দারহাট ক্যাম্পের এ,এসপি কাজী মোঃ তারেক আজিজ।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment