আমার লোক কে থানা থেকে এখন ছেড়ে দিতে হবে! আমি মহিলা আ.লীগের সভাপতি!! আমি ভাইস-চেয়ারম্যান - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Thursday 13 February 2020

আমার লোক কে থানা থেকে এখন ছেড়ে দিতে হবে! আমি মহিলা আ.লীগের সভাপতি!! আমি ভাইস-চেয়ারম্যান


একুশে মিডিয়া, নারায়ণগঞ্জ রিপোর্ট:>>>
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দু'চোখ অন্ধ পাওনাদারকে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার স্বামী-স্ত্রীকে ছাড়াতে থানায় গিয়ে দিদিগিরি দেখিয়ে সদরের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির ৬ জন অনুসারীসহ পুলিশের হাতে আটক হন। অবশ্য ৬ ঘণ্টা পর তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।<:একুশে মিডিয়া:>
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ফতুল্লা মডেল থানায় গিয়ে তিনি উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।<:একুশে মিডিয়া:>
হুংকার দিয়ে থানার ওসিকে ফাতেমা মনির বলেন, আমি ফতুল্লা থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, আমি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান। দেনাদার স্বামী-স্ত্রী আমার লোক তাদের এখন ছেড়ে দিতে হবে।<:একুশে মিডিয়া:>
এ সময় ওসি তাকে মীমাংসার দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু ভাইস-চেয়ারম্যান কোনো কিছুই না শুনে তার লোককে এখনই ছেড়ে দিতে বলেন ওসিকে। একাধিকবার ওসি তাকে বুঝিয়ে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে আটক করেন।<:একুশে মিডিয়া:>
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০টায় ফতুল্লা মডেল থানায় এ ঘটনার পর বিকাল ৪টায় থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক শাহ নিজাম ও এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মুচলেকা দিয়ে ফাতেমা মনিরকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।<:একুশে মিডিয়া:>
ওই সময়ে ফাতেমা মনির ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ ও থানায় এসে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটাবেন না বলে মুচলেকা দেন।<:একুশে মিডিয়া:>
এর আগেও এ ফাতেমা মনির সাবেক এমপি সারাহ বেগম কবরী ও সদর উপজেলার ভাইস-চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাসসহ শ্রমিক লীগ নেতা কাউসার আহমেদ পলাশের সঙ্গে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়েছিলেন।<:একুশে মিডিয়া:>
ফতুল্লা মডেল থানার এএসআই তাজুল ইসলাম জানান, ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকার দু'চোখ অন্ধ মোস্তফা নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে একই এলাকার বেলি বেগম ও তার স্বামী হিরা মিয়া দেড় লাখ টাকা ধার নেন। নির্ধারিত সময়ে টাকা না দেয়ায় গত মঙ্গলবার টাকার জন্য মোস্তফা তাদের স্বামী-স্ত্রীকে চাপ দেন।<:একুশে মিডিয়া:>
এতে স্বামী-স্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে আরও কয়েকজন লোক নিয়ে মোস্তফার বাড়িতে গিয়ে তাকে মারধর করে। এতে তিনি জখম হন। পরে বিষয়টি উল্লেখ করে মোস্তফা থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করেন।<:একুশে মিডিয়া:>
এএসআই তাজুল ইসলাম বলেন, ওসি তাদের থানায় ডেকে এনে বিষয়টি জানার জন্য আমাকে দায়িত্ব দেন। বেলি বেগম ও তার স্বামী হিরাকে বুধবার রাতে থানায় ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা উল্টাপাল্টা কথা বলে। এতে তাদের রাতেই আটক করে থানা হাজতে রাখি এবং ওসিকে জানাই।<:একুশে মিডিয়া:>
ওসি আসলাম হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০টায় ফাতেমা মনির থানায় আটক দুইজনকে ছেড়ে দেয়ার জন্য উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেন। একপর্যায়ে আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে ফাতেমা মনিরকে তাদের উভয় পক্ষের দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করি। কিন্তু তাতেও তিনি রাজি হননি। পরে বাধ্য হয়ে তাকে আটক করি। তার বিষয়ে থানায় জিডি হয়েছে। পরে মুচলেকার মাধ্যমে ফাতেমা মনিরসহ তার সঙ্গীদের ছেড়ে দিয়েছি।<:একুশে মিডিয়া:>




একুশে মিডিয়া/এমএসএ<:একুশে মিডিয়া:>

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages