কঠোর লকডাউনে থেমে নেই এনজিওকর্মীরা দোয়ারাবাজারে কিস্তি আদায়ের চাপে অতিষ্ঠ ঋণগ্রহীতারা - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Thursday 8 July 2021

কঠোর লকডাউনে থেমে নেই এনজিওকর্মীরা দোয়ারাবাজারে কিস্তি আদায়ের চাপে অতিষ্ঠ ঋণগ্রহীতারা

একুশে মিডিয়া, দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে কঠোর লকডাউনে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে  কিস্তি আদায়ে rপর রয়েছে বিভিন্ন এজিও কর্মীরা ঋণ আদায়ের চাপে  অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন বেকার, কর্মহীন নিম্ন মধ্য আয়ের ঋণগ্রহীতারা তাদের অধিকাংশই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দিনমজুর এছাড়াও বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ইজিবাইক, থ্রি-হুইলার, ভ্যান ইত্যাদি কিনে যাত্রী মালামাল পরিবহন করেন অনেকে কিন্তু ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে চলমান কঠোর লকডাউনে তাদের আয়ের উৎস বন্ধ থাকলেও বন্ধ নেই এনজিও মাঠকর্মীদের কিস্তি আদায়ের মহা উৎসব

উপজেলার নরসিংপুর, সুনাইত্যা, ঘিলাছড়া, পূর্বচাইরগাঁওসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, এখন আমাদের পরিবারের খাবার জোগাড় করাই কঠিন তারপর এনজিওকর্মীরা মামলার ভয় দেখিয়ে কিস্তি আদায় অব্যাহত রেখেছে একই অবস্থা বিরাজ করছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়ও

নরসিংপুর গ্রামের ফারুক মিয়া জানান, আমি ব্র্যাক ব্যাংক, মোল্লাপাড়া শাখা থেকে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে কৃষিকাজে জোগান দিয়েছি কিন্তু ভয়াবহ কোভিড-১৯ এর সংক্রমন রোধে লকডাউনে কাজকর্ম না থাকায় মুহুর্তে ঋণের কিস্তি দেওয়াতো দুরের কথা পরিবারের সদস্যদের দুমুঠো অন্নই যোগাতে পারছিনা বৃহস্পতিবার ( জুলাই) সকালে কিস্তি দিতে না পারায় ব্র্যাক ব্যাংক, মোল্লাপাড়া শাখার কর্মকতা নিপেন্দ্র বাবু অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বাকবিতন্ডা শোনে এসময় প্রতিবেশিদের হস্তক্ষেপে আজকের মতো হাফ ছেড়ে বাঁচি

পূর্বচাইরগাঁও গ্রামের খলিল মিয়া বলেন, আমি ঋণ নিয়ে একটি ইজিবাইক কিনেছি, লকডাউনের কারণে পরিবহন বন্ধ থাকায় কিস্তি চালানো দূরের কথা, স্ত্রী-সন্তানদের একবেলা খাবারই জুটছেনা এনজিওকর্মীরা এসে ঋণের কিস্তি আদায়ে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে, টাকা না দিলে তার তাদের ইচ্ছেমতো মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যাবে হরহামেশাই তাদের আচরণে ঋণের চাপে আমরা ঋণগ্রহিতারা বড়ই বিপাকে পড়েছি 

বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানের জনৈক মাঠকর্মী জানান, কিস্তির টাকা আদায়ে প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নিয়মিত কিস্তি আদায় করে অফিসে জমা না দিলে আমাদের বেতন বন্ধ হবে, এমনকি চাকরি হারাতে পারি

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ জানান, করোনার এই পরিস্থিতিতে জুলাই হতে লকডাউনের কারণে এনজিওকর্মীদের ঋণ আদায় পরবর্তী ঘোষনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সরকারি আইন অমান্য করে কোনো এনজিওকর্মী যদি ঋণ নিতে আসে উপযুক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া হবে

 

বৃহস্পতিবার জুলাই ২০২১ ইং# সম্পাদক প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত একুশে মিডিয়ার সংবাদ

 

একুশে মিডিয়া.কম' প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না

নিউজটিতে আপনার মতামত কমেন্ট করুন শেয়ার করুন

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages