একুশে মিডিয়া ডেস্ক:
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকারের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, গত ১ জুলাই তৃতীয় সেমিস্টারের ভাইভা দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বের হন এক ছাত্রী। এরপর থেকে তিনি অসংলগ্ন আচরণ করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা দেয়ার পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় শুক্রবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়া হল কর্তৃপক্ষ।
সঞ্জয় কুমারের যৌন হয়রানি ও হুমকি-ধমকিতে এমনটি হয়েছে বলে তার সহপাঠীরা অভিযোগ করেছেন। ভাইভা দিয়ে বের হওয়ার সময় তিনি ‘সঞ্জয় স্যার আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে, গলায় ছুরি ধরেছিল, আমার সব শেষ করে দিয়েছে, সব নিয়ে গেছে’ বলতে থাকেন বলে জানান তার হলের ছাত্রীরা।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, নতুন ছাত্রীদের ফেসবুক, মুঠোফোনে খুদে বার্তা ও কল দিয়ে বিরক্ত করেন সঞ্জয় কুমার। গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর এক ছাত্রী তার বিরুদ্ধে ইবি উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ আসকারীর কাছে অভিযোগ করেন। তখন তাকে ডেকে সতর্ক করে দেন উপাচার্য।
সঞ্জয় কুমার তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে ছাত্রীদের খুদে বার্তা পাঠানো ও কল দেয়ার বিষয়ে উপাচার্য যে তাকে সতর্ক করেন, তা স্বীকার করেছেন।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন-উর-রশিদ আসকারী আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নারীদের জন্য অভয়ারণ্য করা হয়েছে। এখানে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স জারি রয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত যেই হোক না কেন তদন্ত সাপেক্ষে তাকে বিচারের আওতায় আনা হবে। একুশে মিডিয়া।
No comments:
Post a Comment