‘আমাদের ভরসা মহান আল্লাহ পাক, এদেশের জনগণ’ সচিবালয়ে: সেতুমন্ত্রী-একুশে মিডিয়া - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

ক্লিক করুন

Breaking News

Home Top Ad

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Sunday, 22 July 2018

‘আমাদের ভরসা মহান আল্লাহ পাক, এদেশের জনগণ’ সচিবালয়ে: সেতুমন্ত্রী-একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, ঢাকা রিপোর্ট:
‘আমরা আমাদের নেতাদের সাথে কথা বলেছি তাদের (বিরোধী দল) সভা-সমিতি করার জন্য কোন স্পেস দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন বাধা থাকবে না। আমরা পুলিশকে বলেছি বিশৃঙ্খলা হওয়া আশঙ্কা না থাকলে বিরোধীদলের সভা সমাবেশ যেন তাদের করতে দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশের সর্বস্তরে নির্দেশনা দিয়েছে। এখানে সরকারের সদিচ্ছার কোন ঘাটতি থাকবে না।’
রোববার (২২ জুলাই) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি একেক সময় একেক কথা বলে। এক সময় বলেছে, খালেদা জিয়াকে ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। এখন বলছে, নির্বাচন তারা প্রতিহত করবে। তাদের এ ঘোষণার মধ্যে চক্রান্ত ও সহিংসতার একটি গন্ধ আছে। এখানে নাশকতার আশঙ্কা আমরা করছি।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের ভরসা মহান আল্লাহ পাক। এদেশের জনগণ। আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে সব কিছু প্রতিহত করবো। ২০১৪ সালে যা হয়েছে তার পুনরাবৃত্তি এদেশে আর হতে দেওয়া হবে না। বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি আসবে না, তা বিএনপির ব্যাপার। ইলেকশন বিএনপির জন্য অনুদান নয়। এখানে সরকার কেন তাদেরকে নির্বাচনে আনতে অনুরোধ করবে? আর তারা নির্বাচনে না আসলেই যে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। এটা ঠিক নয়। আমাদের উদ্যোগের কিছু নেই। এটা তাদের অধিকার। তারা যদি না আসে আমাদের করার কি? নির্বাচন নিয়ে সংলাপের কোন প্রয়োজন নেই। এটা পরিষ্কার।
সেতুমন্ত্রী বলেন, গেল কয়দিন আগে কুমিল্লায় অলি আহমেদের সভায় কিছুটা সমস্যা হয়েছে। পুলিশকে এসব বিষয়ে ভবিষ্যতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে, যাতে করে বিরোধী দল বা বিভিন্ন দল তাদের সভা সমাবেশ করতে গিয়ে কোন প্রকার বাধার সম্মুখীন না হয়।
আমরা একটা বিষয় বলবো, জনগণের ভোগান্তির কথা শুধুমাত্র সরকারি দলকে ভাবলে চলবে না। যারা নিজেদেরকে গণতান্ত্রিক দল বলে দাবি করেন, তাদেরকেও আমরা বলবো জনভোগান্তির বিষয়টা তারা যেন মাথায় রাখেন। সভা সমাবেশ যদি অফিস খোলার দিনে করা হয় তাহলে জনভোগান্তি চরমে যায়। এটা অন্যায় এটা হতে পারে না। তাই তাদেরকেও এটা বিবেচনা করতে হবে।
সভা সমাবেশ করতে দেওয়া হয় না এমন অভিযোগ বিরোধী দলগুলোর বরাবরই ছিল। এমন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সভা সমাবেশের নামে পুলিশ যদি কোন প্রকার নাশকতার খবর পায় তাহলে সেখানে পুলিশ অনুমতি দেবে না এটা স্বাভাবিক। জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে বিষয়টি আমাদের মেনে নিতে হবে। গণতন্ত্রতো বিশৃঙ্খলা নয়। পাকিস্তানে যে নির্বাচন হচ্ছে। দেখেনতো সেখানে কী নির্বাচন হচ্ছে? সেরকম কোন নির্বাচন আমরা চাই না। আমরা দেশেতো কোন বিশৃঙ্খলা হতে দিতে পারি না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনি (বিএনপি) ৫ জানুয়ারির নির্বাচন করবে না। আর সেই নির্বাচন সামনে রেখে সহিংসতার যে দৃশ্যপট আপনি দিয়েছেন এটা গণতন্ত্রের ভাষা নয়। গণতন্ত্র রক্ষা করার নামে এমন ভাষা আমরা আগে দেখিনি। বিএনপি আন্দোলনের ইস্যু পাচ্ছে না। ইস্যু খুঁজতে গিয়ে কখনো কোটা আন্দোলন। কখনো লর্ড কারলাইলকে দিয়ে ভারত আর বাংলাদেশের মধে সম্পর্কের অবনতি করার মতো অনেক চেষ্টা হয়েছে। এখনো চক্রান্ত মূলক পরিকল্পনার ছক চলছে। বিদেশ থেকে চলছে এবং দেশ থেকেও চলছে।
নির্বাচনে আসতে বিএনপি শর্ত দিয়েছে, তাদের শর্ত মেনে নেয়া হবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির দেওয়া কোন শর্ত মেনে কোন নির্বাচন দেশে হবে না। সংবিধানের বিধান অনুসারে নির্বাচন হবে।
তিন সিটি করোরেশন নির্বাচনের ইস্যু টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আমাদের নেতা-কর্মীদের নিদের্শনা দিয়েছি, তারা যেন নির্বাচন কমিশনের যে আচরণ বিধি আছে তা লঙ্ঘন না করে। আমরা চাই একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন। শান্তিপূর্ণভাবে যাতে ইলেকশন সম্পন হয় সে ব্যাপারে আমাদের নেতা-কর্মীরা যাতে সহযোগিতা করে আমরা তা বলে দিয়েছি। সরকারিভাবেও প্রধানমন্ত্রী প্রশাসনকে এ বার্তা পাঠিয়েছেন যে, কোন প্রকারের বাড়াবাড়ি যেন না হয়। নির্বাচনে হস্তক্ষেপ হয় এমন কোন অভিযোগ যাতে না আসে। একুশে মিডিয়া।’

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages