ছবি : প্রতীকী
একুশে মিডিয়া, আন্তর্জাতিক রিপোর্ট:
ছোট দুটো বাচ্চা বিছানায় শুয়ে কাঁদছে। হয়তো তাদের খিদে পেয়েছে নয়তো বা অন্য কোনো শঙ্কা। তা যাই হোক। ছোট ছেলে শিশুটার বয়স চার আর মেয়েটার সবে দু’মাস। তাদের মা পাশে পড়ে রয়েছে তবে মৃত! এ বিষয়টা হয়তো তারা বুঝতে পারেনি। তাদের বাবা-মাকে খুন করা হয়েছে।
সম্প্রতি, ভারতের বাগডোগরার প্রধাননগরের দম্পতি খুনের ঘটনা ঘটেছে। নিহত ওই দম্পতির নাম অজয় খুশওয়াহা (৩৫) ও মীনা খুশওয়াহা (৩২)।
ক্যাটারিংয়ের কর্মীরা কাজ শেষে প্রতি দিনই তাদের মালিকের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। কিন্তু ওইদিন বাড়ির বাইরে থেকে ডাকলে মালিক বা তাঁর স্ত্রী কোনা সাড়া দেননা দেখে দরজা খুলে ঘরে ঢুকে যান কর্মীরা।
ঘরে ঢুকেই আঁতকে উঠেন তারা। তারা দেখেন সামনের ঘরেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন অজয়। এ সময় তারা পাশের ঘরে যেতেই দেখেন অজয়ের স্ত্রী মীনা বিছানার উপর পড়ে রয়েছেন। চারদিকে রক্তে ভেসে যাচ্ছে। মীনার পাশে ঘুমিয়ে রয়েছে তার দুই সন্তান।
সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ফোন করে বিষয়টি জানান তারা। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
এই বাড়িতেই খুন হয়েছেন অজয় ও মীরা খুশওয়া।
পুলিশ জানিয়েছে, দম্পতির মাথায় ও শরীরে কোনও ভারি ধারাল অস্ত্র জাতীয় কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই পুলিশ দু’জনকে আটক করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আরও কয়েক জনকে। পুলিশ জানাচ্ছে খুন হয়েছে, রাত ১২টা থেকে দুইটার মধ্যে। সেক্ষেত্রে পরিচিত কেউ জড়িয়ে থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। ব্যক্তিগত না ব্যবসায়িক শত্রুতার কারণে খুন সেটাও ভাবাচ্ছে পুলিশকে।
দম্পতি খুনে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠে এসেছে। রহস্যও দানা বাঁধছে। দুটো মানুষ খুন হয়ে গেলেন অথচ আশপাশের কেউ টের পেল না কেন? আততায়ী যখন আক্রমণ করে সেই সময় ওই দম্পতি কোনও আওয়াজ করলেন না কেন বা সাহায্যের জন্য চিৎকার করেননি কেন? মীরাদেবী বিছানাতেই খুন হলেন অথচ তার ছেলে টের পেল না! কেনই বা বাচ্চা দুটোকে ছেড়ে দেওয়া হল? একুশে মিডিয়া।’
No comments:
Post a Comment