একুশে মিডিয়া, ঢাকা রিপোর্ট:
বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশের জন্য পুলিশের কাছে থেকে মৌখিক অনুমতি পাওয়া পর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে স্রোতের মতো আসছেন নেতা-কর্মীরা। ইতোমধ্যে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে নয়াপল্টন।
রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে যোগ দিচ্ছেন। যদিও সমাবেশে জন্য বিএনপি কার্যালয়ের সামনের সড়কের পূর্ব দিকে পল্টন মসজিদ এবং পশ্চিম দিকে ঢাকা ব্যাংক ভবন পর্যন্ত মাইক লাগানোর মৌখিক অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।
বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টার পরপরই নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন। নয়াপল্টনের আশেপাশের মসজিদে জুম্মার নামাজে অংশ নিতে দেখা গেছে নেতাকর্মীদের। নামাজ শেষে তারা দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন। নেতাকর্মীদের উপস্থিতির কারণে দেড়টার পরপরই অনানুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় সমাবেশ। দলের প্রধানের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। কার্যালয়ের আশপাশে সাঁজোয়া যান ও জলকামান নিয়ে পুলিশের অবস্থান।
এদিকে সমাবেশ করতে বিএনপিকে ২৩টি শর্ত দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিকাল ৫টার মধ্যেই সমাবেশ শেষ করতে হবে। লাঠি, বাঁশ, ছুরি, কাঁচি, বিস্ফোরকদ্রব্য মিছিলে ব্যবহার করা বা সমাবেশে নেওয়া যাবে না। সমাবেশ চলাকালে রাস্তা দখল করে নেতাকর্মীরা দাঁড়াতে পারবেন না। বিএনপির নেতাকর্মীরা কোনো ফৌজদারি অপরাধে জড়ালে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবে।
সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি নয়াপল্টনে সমাবেশ করে বিএনপি। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। একুশে মিডিয়া।’
No comments:
Post a Comment