সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসংবর্ধনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘কেন নৌকা ঠেকাবেন?’-একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Saturday, 21 July 2018

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসংবর্ধনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘কেন নৌকা ঠেকাবেন?’-একুশে মিডিয়া

ছবিঃ সংগৃহীত
একুশে মিডিয়া, ঢাকা রিপোর্ট:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একটা শ্রেণি আছে, তারা নাকি উন্নয়ন চোখে দেখে না। তারা আবার বলে নৌকা ঠেকাও। কেন নৌকা ঠেকাবেন? সামনে তো বন্যা আসছে তখন আপনাদের দলের নেতারা রিলিফ দিতে গেলে নৌকা লাগবে। তাহলে নৌকা ঠেকাবেন কেন?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নৌকা থাকলেই দেশের মানুষের উন্নয়ন হয়।
আজ শনিবার (২১ জুলাই) বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এই সংবর্ধনা উৎসর্গ করছি বাংলার মানুষকে।’
ভারতের আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট ডিগ্রি অর্জন, মহাকাশে সফলভাবে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট পাঠানো, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড অর্জন ও স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করা, চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাওয়া এবং দেশের উন্নয়ন ও অর্জনে অনন্য সফলতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিল বলে বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেয়েছে। স্বাধীনতা পেয়েছে, গণতন্ত্র পেয়েছে। বাংলাদেশে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। তাহলে নৌকা ঠেকাবেন কেন? রাজাকারদের ক্ষমতায় আনতে নৌকা ঠেকাবেন? যারা দেশের নাগরিক, গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকার ও উন্নয়নে বিশ্বাস করে না তারাই নৌকা ঠেকাতে চায়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (বিএনপি) নাকি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে। কোথা থেকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে? আজ জনগণের ভোটাধিকার জনগণের হাতে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘নৌকা থাকলেই দেশের মানুষের উন্নয়ন হয়। আজ বাংলাদেশ বিশ্বের মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। স্বাধীনতার পর ২১ বছর দেশের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। এখন বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি মুখে ভারত বিরোধিতা করলেও ভেতরে ভেতরে ভারতের তোসামোদি করে। এমনকি নিজের দাবির কথাটা বলতেও ভুলে যায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেটি ভুলে না। কারণ আওয়ামী লীগের কাছে দেশ বড়, দেশের মানুষ বড়, মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন বড়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি দেশকে জঙ্গিবাদের আস্তানা বানিয়ে গেছে। আমরা সেখান থেকে দেশকে রক্ষা করেছি। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদক নির্মূলে কাজ করছি। যে মাদকের কারণে পরিবার, মেধাবী শিক্ষার্থীরা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সেই মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’
‘২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু গ্যাস দিতে পারেনি, দেশের উন্নয়নও করতে পারেনি। আমি আগেই বলেছি, মুচলেকা দিয়ে বাংলাদেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় যেতে চাই না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৮ সালে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছি। দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছি। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে নির্বাচন ঠেকানোর আন্দোলন শুরু করে বিএনপি। কারণ নির্বাচন ঠেকাতে পারলে আবার অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীরা ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু দেশের জনগণের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তারা বিএনপির এসব জ্বালাও পোড়াও ঠেকিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে। দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্তিত করেছে। আবার বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এ দেশেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম । কিন্তু বিএনপি আবার মাঝ পথে সেটিকে বন্ধ করে দেয়। কারণ তারা দ্বিতীয় দফায় আবার ক্ষমতায় আসে। যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই আমাদের নেওয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বন্ধ করে দেয়।’
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে তাদের বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে। অথচ এই খুনিরা দম্ভভরে বলেছিল তারা শেখ মুজিবকে হত্যা করেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘১৯৭৫ সালের আগে বাঙালি ছিল বীরের জাতি। আর ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেই বাঙালি হলো খুনি জাতি। কলকাতায় আমরা যে বাসায় ছিলাম সেখানে এক কাপড় বিক্রেতা আসতেন তিনি আমাদের বললেন আপনারা কীসের জাতি? যিনি আপনাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন তাকে হত্যা করল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে আমরা আমাদের সম্মান হারিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫ পরবর্তী ক্ষমতাভোগীরা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে ব্যস্ত ছিল। তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য বদলাতে কোনো কাজ করনি। কিছু সুবিধাভোগির জীবন উন্নত হয়েছে কিন্তু বাংলার মানুষের ভগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমাকে ৭৫ পরবর্তী অনেক ঘাত প্রতিঘাত অতিক্রম করতে হয়েছে। কিন্তু পিছপা হইনি। জনগণের অধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে জাতির পিতার হত্যার বিচার শুরু করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ শুরু করেছি। কিন্তু জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। একুশে মিডিয়া।’

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages