নাটোরের উত্তরা গণভবনে বানরের আক্রমনে আহত শিশু চিকিৎসা মেলেনি হাসপাতালে!-একুশে মিডিয়া - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

ক্লিক করুন

Breaking News

Home Top Ad

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Sunday, 12 August 2018

নাটোরের উত্তরা গণভবনে বানরের আক্রমনে আহত শিশু চিকিৎসা মেলেনি হাসপাতালে!-একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, নাটোর রিপোর্ট:
নাটোরের উত্তরা গণভবনের চিড়িয়াখানার বানরের কামড়ে হালিমা খাতুন নামে আড়াই বছরের এক শিশু দর্শনার্থী আহত হয়। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসার সুযোগ না থাকায় আহত শিশুকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলেও সেখানে চিকিৎসা সেবা মেলেনি। ফলে আহত শিশুকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হয়েছে সজনদের। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (১২ আগস্ট) দুপুরে। আহত শিশুর বাড়ি রাজশাহীতে। তার বাবা হাসান আলী।”
আহত শিশুর পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার সকালে শিশু হালিমাকে নিয়ে মা-বাবাসহ পরিবারের ক’জন সদস্য নতুন ভাবে সাজানো নাটোরের উত্তরা গণভবন পরিদর্শনে আসেন। দুপুর ১টার দিকে উত্তরা গণভবনের চিড়িয়াখানা পরিদর্শনের সময় শিশু হালিমাকে বানর কামড় দিলে সে আহত হয়। চিড়িয়াখানার খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় বানরের বাঁদরামি দেখে শিশু হালিমা তার হাত খাঁচার ভিতর ঢুকিয়ে দিয়ে বানরকে ডাকতে থাকে। ঠিক ওই মূহুর্তে বানরটি ছুটে এসে শিশুটির হাতে কামর বসিয়ে টেনে ধরে। এসময় সজনসহ উপস্থিত দর্শনার্থীরা ছুটে গিয়ে শিশুটিকে রক্ষা করে।”
এদিকে আহত শিশুকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ছোটাছুটি করতে থাকেন। এ সময় স্থানীয়দের পরামর্শে শিশুটিকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দুরে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্মরতরা চিকিৎসার সময় অতিবাহিত হওয়ার কথা বলে চিকিৎসা না দিয়ে পরদিন শিশুটিকে হাসপাতালে আনার পরামর্শ দেন। ফলে চিকিৎসা না পেয়ে তারা ফিরে যান।”
শিশুটির কাজিন বড়াইগ্রামের জানান, বানরের আক্রমণে শিশুর বাম হাতে বড় ধরনের ক্ষত হয়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলেও সেখানে চিকিৎসা মেলেনি। সেখান থেকে বলা হয়, প্রতিদিন যিনি ভ্যাকসিন দিয়ে থাকেন তিনি ১টার সময় দায়িত্ব শেষে চলে যান। তাই পরদিন সকালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বিদায় করা হয়।’
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ মাহবুব হোসেন জানান, শিশুটিকে বেলা তিনটার দিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু ওই সময় ভ্যাকসিন দেয়া হয় না। তবে শিশুর হাতের ক্ষত বেশি ছিল। তাই শিশুটিকে নিয়ে পরদিন সকালে আসতে বলা হলেও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।”
সিভিল সার্জন ডাঃ আজিজুল হক বলেন, তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন তাই ঘটনাটি সম্পর্কে সঠিক কিছু জানেন না। তবে হাসপাতালে জনবল সংকট প্রকট এবং ভ্যাকসিন দেওয়ার সময় অতিবাহিত হওয়ায় শিশুটিকে পরদিন নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। তিনি ঢাকা থেকে ফিরে প্রকৃত ঘটনা জেনে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।”
নেজারত ডেপুটি কালেক্টরেট(এনডিসি) অনিন্দ্য মন্ডল বলেন, শিশুটি খাঁচার ভিতরে হাত ঢুকিয়ে বানরকে খাবার দিচ্ছিল। চিড়িয়াখানার সামনে এসব বিষয়ে সতর্কীকরণ নোটিশ টানানো রয়েছে। ওই সব নোটিশ উপেক্ষা করে কেউ কেউ এমন ভুল করে বিপদের মুখে পড়েন। বিষয়টি সম্পর্কে দর্শনার্থীদের প্রায়ই সর্তক করা হয়।। একুশে মিডিয়া।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages