দোহারে দপ্তরী পদে চাকুরী দেওয়ার কথা বল একলাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কমিটির সদস্য-একুশে মিডিয়া

একুশে মিডিয়া, মোঃ জাকির হোসেন, দোহার (নবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি:

ঢাকার দোহার উপজেলার ২১ নং ইসলামাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী পদে চাকুরীর প্রভোলন দেখিয়ে এক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বিল্পব হাওলদার স্কুল কমিটির সদস্য মো.আলম হোসেনের নামে দোহার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী বিল্পব হাওলদার ও তার স্ত্রী সন্ধ্যা হাওলদার অভিযোগ করে জানান,গত ৫ সেপ্টেম্বর দোহার উপজেলার ২৯ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী পদে নিয়োগ পরীক্ষার দিন ধার্য্য ছিল।এ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে উপজেলার ২১ নং ইসলামাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মো.আলম হোসেন দপ্তরী পদে নিয়োগ বানিজ্যের নামে বিল্পব হাওলদারের কাছ থেকে ইসলামাবাদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী পদে চাকুরী পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে এক লক্ষ টাকা ঘুষ বাবদ গ্রহন করেন।পরবর্তীতে উক্ত বিদ্যালয়ে দপ্তরী পদে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ন ব্যাক্তির নাম প্রকাশ হইলে,দপ্তরী পদে চাকুরী প্রত্যাশী বিল্পব হাওলদারের টনক নড়ে।দপ্তরী পদে বিল্পব এর নামের পরিবর্তে অন্য ব্যাক্তির নাম প্রকাশ হইলে এ ঘটনায় চাকুরী প্রদানের নিশ্চয়তাদানকারী স্কুল কমিটির সদস্য মো.আলম হোসেনের নিকট টাকা ফেরৎ চাইলে আলম বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেন।পরবর্তীতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিল্পব হাওলদার ও তার স্ত্রী সন্ধ্যা হাওলদার গতকাল শনিবার বিকালে বিষয়টি দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.সাজ্জাদ হোসেনকে অভিযোগ জানালে তিনি বিষয়টি আমলে নেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বিল্পব হাওলদার ও তার স্ত্রী সন্ধ্যা হাওলদার জানান,থানায় অভিযোগ করাতে স্কুল কমিটির সদস্য আলম হোসেন তাদেরকে শাশিয়েছেন বলে জানান। এ বিষয়ে স্কুল কমিটির সদস্য মো.আলম হোসেনের সাথে তার মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন আমি কোন টাকা গ্রহন করি নাই।আমি এখন ঢাকা আছি পরে দোহারে এসে আমি আপনাদের সাথে সাক্ষাৎ করবো। এ ঘটনায় ইসলামাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মাহবুবুর রহমান জানান,বিষয়টি তিনি আজকে জানতে পেরে স্কুল কমিটির সভায় অভিযুক্ত আলমকে উপস্থিত হয়ে কারন দর্শানোর কথা বললে তিনি কৌশলে অনুপস্থিত থাকেন।দপ্তরী পদে নিয়োগ প্রত্যাশী বিল্পব হাওলদারের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎকারী আলমের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হবে। এ ঘটনায় দোহার থানার অফিসার ইনচার্জ মো.সাজ্জাদ হোসেন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে জানান,অভিযুক্ত আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।প্রমান পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একুশে মিডিয়া।”।