১৯ মাস পর ঘোড়াশাল ইউরিয়া সারকারখানায় সার উৎপাদন শুরু-একুশে মিডিয়া - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Tuesday, 23 October 2018

১৯ মাস পর ঘোড়াশাল ইউরিয়া সারকারখানায় সার উৎপাদন শুরু-একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, আল আমিন মুন্সী:
দীর্ঘ ১৯ মাস গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকার পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে পুনরায় গ্যাস সংযোগ দিলেও ঘোড়াশাল ইউরিয়া সারকারখানার সার উৎপাদন শুরু করতে পারেনি সারকারখানা কর্তৃপক্ষ। 
রবিবার রাত ১০টার দিকে গ্যাস সংযোগের ৩৮ দিন পর সার উৎপাদন শুরু করেছেন বলে ঘোড়াশাল সারকারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সাজ্জাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিসিআইসি নিয়ন্ত্রাধীন দেশের বৃহত্তম ১৪২২ টন ঘোড়াশাল ও  ৩০০ টন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার উৎপাদন গ্রীষ্মকালে নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল সারকারখানা দুটিতে  সরকারি সিদ্ধান্তে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় পেট্টোবাংলা। এরপর থেকে ঘোড়াশাল ও পলাশ ইউরিয়া সারকারখানার সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
পরে ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সরকারী সিদ্ধান্তে পেট্টোবাংলা এ দুটি সারকারখানায় গ্যাস সংযোগ চালু করে। গ্যাস সংযোগ চালুর ৩ দিন পর থেকে পলাশ সারকারখানায় সার উৎপাদন শুরু করলেও ঘোড়াশাল সারকারখানায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উৎপাদন চালু করতে পারেনি সারকারখানা কর্তৃপক্ষ। ঘোড়াশাল সারকারখানার উৎপাদন বিভাগ জানান, প্রতি মেট্রিক টন সার উৎপাদনে খরচ হয় ১৪ হাজার টাকা। আর একই সার বিদেশ থেকে আমদানি করলে প্রতি মেট্্িরক টনে খরচ হয় ৪০ হাজার টাকা।
এ বছর ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার কারখানার বার্ষিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২ হাজার টন। কিন্তু গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা মারাতœক ভাবে ব্যাহত হয়েছে।
তিতাসের ঘোড়াশাল সঞ্চালন ও বিতরণ কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, ঘোড়াশাল সার কারখানায় দৈনিক ৪৫ মিলিয়ন ঘনফুট ও পলাশ সার কারখানায় ১৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন হয়।
ঘোড়াশাল ইউরিয়া সারকারখানার সিবিএ সভাপতি আমিনুল হক ভূইয়া জানান, দীর্ঘদিন কারখানাটি বন্ধ থাকায় একদিকে যেমন আমদানি নির্ভর হয়ে পড়েছিল সরকার।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন কারখানা বন্ধ থাকায় মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল অনেক যন্ত্রপাতি। আমাদের কারখানার প্রকৌশলীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে গতকাল রবিবার রাত ১০টার দিকে উৎপাদন শুরু করতে সক্ষম হয়েছে।
এদিকে কারখানার শ্রমিক কর্মচারীরা গ্যাস সংযোগ পাওয়ার পরও কারখানার উৎপাদন চালু করতে না পারায় হতাশার মধ্যে পড়েছিল।
রবিবার রাতে উৎপাদন শুরু হওয়ার সাথে সাথে কারখানার শ্রমিক কর্মচারীরা আনন্দ উল্লাস করতে থাকে। একুশে মিডিয়া।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages