আইনি নিষেধাজ্ঞার পরও ১৩ বছরের কন্যা সাথে ৩৫ বছরের ছেলের বিবাহ সম্পন্ন-একুশে মিডিয়া - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Thursday, 18 October 2018

আইনি নিষেধাজ্ঞার পরও ১৩ বছরের কন্যা সাথে ৩৫ বছরের ছেলের বিবাহ সম্পন্ন-একুশে মিডিয়া



একুশে মিডিয়া, এম এ হাসান, কুমিল্লা:
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ৭ম শ্রেণীর অধ্যায়নরত ১৩ বছর বয়সের কন্যা কে রাতের অন্ধকারে জোর পূর্বক বিবাহ সম্পন্ন করে শুশুড় বাড়ীতে পেরণ করেন জন্মদাতা পিতা।চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় তোলপাড় করা এই গঠনাটি ঘটে ৫নং শুভপুর ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামে।জানা যায় যে 
বাল্যবিয়ের পিঁড়িতে বসা আঁখি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের মফিজুর রহমান হান্নাতের কন্যা এবং একই গ্রামের দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। বিগত কয়েকদিন পূর্বে পাশ্ববর্তী পাশাকোট গ্রামের টুনু মিয়া ওরফে টুনু ড্রাইভারের ছেলে নুরুন নবী’র সাথে বিবাহের দিন-তারিখ সম্পন্ন করে দুই পরিবার। নুরুন নবী সম্পর্কে আঁখির খালাত ভাই। বিয়ের ২দিন পূর্বে দুই বাড়িতেই বিয়ের গেইট সাজানো হয়। কিন্তু বাল্যবিয়ে প্রদানেরর্ ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ায় সামাজিকভাবে বাঁধার সম্মুখিন হয় আঁখির পরিবার। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা আখতার যোগাযোগ করলে আঁখির পরিবার তাদেরকে আশ্বস্থ করে জানায়, আঁখির বিয়ে দিবে না তারা। পরদিন বিয়ের গেইট খুলে ফেলে পরিবার এবং গোপনে বরপক্ষের সাথে সমঝোতা করে।
সমঝোতায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ১৮ (অক্টোবর) দুপুরে ‘আকদ’ অনুষ্ঠানের নামে মেহমানদারি ও খাওয়া-দাওয়া সম্পন্ন হবে মর্মে উভয় পক্ষ একমত পোষন করে। উভয় পক্ষের এ চালাকিও প্রকাশ হলে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেন।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান নিজে উপস্থিত থেকে অত্যন্ত কঠোরভাবে আঁখির পরিবারকে নিষেধ করেন বিয়ে না দেওয়ার জন্য। তারা আবারো চালাকি করে বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানায়। কিন্তু এদিন রাতের আলো নামতেই মেয়ের পিতা মফিজুর রহমান পাশ্ববর্তী শ্রীপুর ইউনিয়নের যশপুর গ্রামের হাফেজ রশিদকে বাড়তি অর্থ প্রদান করে আঁখি ও নুরুন নবীর বিবাহ সম্পন্ন করেন। তাৎক্ষনিক মেয়েকে সিএনজি যোগে পাঠিয়ে দেয় শশুরবাড়িতে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক সমাজপতি ও রাজনীতিবীদ জানান, বারবার উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনকে ধোঁকায় ফেলে একটি শিশু মেয়েকে বিয়ে দিয়েছে পাষন্ড পিতা। তারা সমাজের লোকদেরও বিকেলে জানায় বিবাহ দিবে না। কিন্তু রাতের আলো নামতেই মেয়েটিবে গোপনে বিবাহ প্রদান করে সে। এসব ঘটনার উপর্যুক্ত শাস্তি না হলে আরও বাড়তে থাকবে বাল্যবিবাহ।এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, আজ দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারের নির্দেশে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমাকে ফোন করে বাল্যবিবাহ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে বলে। আমি তাৎক্ষনিক আঁখির পরিবারের সাথে যোগাযোগ করি। এসময় তারা আমাকে আশ্বস্থ করে বিবাহ প্রদান করবে না মর্মে। কিন্তু সন্ধ্যার পরপরই শুনতে পাই তারা অত্যন্ত গোপনে এবং অল্প সময়ে কালিমার মাধ্যমে মেয়েটিকে শশুর বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে।স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোঃ আমান জানান, প্রশাসনের নির্দেশে বিকেল ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান মজুমদারসহ আমরা ঘটনাস্থল দুর্গাপুর গিয়ে বিবাহের সকল আয়োজন বন্ধ করি। এসময় বিয়ের প্যান্ডেলও খুলে ফেলি। পরিবারও আশ্বস্থ করে আমাদের বিয়ে দিবে না মর্মে।এদিকে বাল্যবিয়ের বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিনহাজুর রহমানকে মুঠোফোনে জানালে তিনি তাৎক্ষনিক প্রতিবেদকের নিকট থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন এবং ইউপি চেয়ারম্যান ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।এদিকে রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিনহাজুর রহমান জানান, অামি বাল্য বিয়ের বিষয়টি খবর পেয়ে স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। এ বিয়েটার পিছনে মেম্বারের চালাকি থাকতে পারে।কেননা এতটা নিষেধাজ্ঞার পরও মেয়ের পিতার এতটা দূরসাহস এর পেছনে অবশ্যই স্থানীয় যোগসাজশের মতামত প্রদানের  রহস্য রয়েছে।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages