![]() |
একুশে মিডিয়া, মোঃ আরিয়ান আরিফ, ভোলা:
ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৬ নং দিদারুল্লাহ গ্রামে অপহরণের ১ মাস পর রিয়া নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গত সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরিশাল মুলাদী এলাকা থেকে রিয়াকে উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা গ্রামের ফরিদের মেয়ে রিয়াকে চরখলিফা বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় পড়াশুনা চলাকালিন সময়ে একই গ্রামের নুরে আলমের ছেলে রাজিব বেশকিছু দিন ধরে মাদ্রাস্য যাওয়া-আসার সময় প্রায় পথরোধ করে উত্ত্যক্ত করতো। পারিবারিক ভাবে বিভিন্ন সময় বহু বার তাকে নিষেধ করলে সে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে অপহরণের হুমকি দিতে থাকে। ঘটনার দিন গত ১৭ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসা থেকে বাড়ী যাওয়ার সময় রাস্তা থেকে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক রাজিব তার দলবল নিয়ে তার চার বন্ধু -১ নাজিম ২ জামাল ৩ রাকিব ৪ আলাউদ্দিন এদের সহযোগীতায় রিয়াকে জোরপূর্বক অপরহরণ করে অটোরিকশা যোগে তুলে নিয়ে যায়। ওই দিন রিয়ার পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য সকল জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করে তার কোন সন্ধান পায় না। এদিকে রিয়ার বাবা ফরিদ দৌলতখান থানায় অপহরণের মূলহোতা রাজিব সহ ৫জনকে আসামি করে ওই দিনেই দৌলতখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
কিছুদিন পর রিয়াকে ঢাকায় নিয়ে যায় রাজিব ও তার সহযোগী বন্ধুরা। এরপর তাকে বাসায় পাঠানোর কথা বলে সদরঘাট এনে পালিয়ে যায় রাজিব সহ তার সহযোগী বন্ধুরা। পরে রিয়া ভোলার লঞ্চ ভেবে বরিশালের লঞ্চে উঠে।
পরে লঞ্চের ভিতরে রিয়া একা দেখে বেল্লাল নামে এক যাত্রী তার কাছে সব ঘটনা শুনে। তারপর তাকে নিয়ে যায় বরিশাল মুলাদী এলাকায় স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে ভাড়া বাসায় উঠে দুজন। পরে সেখান থেকে তাদেরকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটক করেন দৌলতখান থানা পুলিশ। আটক বেলাল মিরগঞ্জের খলিল গাজীর ছেলে।
দৌলতখান থানার অফিসার ইনচার্জ এনায়েত হোসেন জানান, মেয়েটি অপহরণ করার পর থেকেই আসামিরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় আটকে করে রাখে। বারবার স্থান পরিবর্তন করার কারণে আমাদের কয়েকটি অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। এ ঘটনায় বেল্লাল নামে একজনকে আটক করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে দ্রত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর রিয়াকে ডাক্তারী পরীক্ষা করার জন্য আজ মঙ্গলবার ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
No comments:
Post a Comment