![]() |
এবিএস রনি, যশোর জেলা প্রতিনিধি:
বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমস ভারত গামী পাসপোর্ট যাত্রীদের সাড়ে ৪ ঘন্টা আটক করে বিভিন্ন প্রকার অহেতুক প্রশ্ন করে হয়রানি করছে বলে একাধিক অভিযোগ করেছে পাসপোর্টযাত্রীরা।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টার সময় ভারত গামী চট্টগ্রাম থেকে আসা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের আটক করে কাস্টমস ভবনের দোতলায় নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্নে জর্জরিত করে তাদের নিকট থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে রাখে বলে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা অভিযোগ করে।
চট্টগ্রাম থেকে আসা বৌদ্ধ ভিক্ষু রজ্ঞন চৌহানী পিতা প্রসাদ চৌহানী পাসপোর্ট নং০৬০৭৬২১, বাসনা চৌধুরী স্বামী মৃদুল চৌধুরী পাসপোর্ট নং বিটি -৬৭১১৯৫৩ মৃদুল চৌধুরী পিতা রাখাল চৌধুরী, পাসপোর্ট নং বিটি ০৭১১৬৩৮,উদয় শংকর পিতা সশাংক মহলদার পাসপোর্ট নং বিপি- ০৫১৪৬৯৩, রাহুল সিং পিতা তপন সিং পাসপোার্ট নং বিবি- ০৭৫২৬৭৪, । এ সকল পাসপোর্ট যাত্রী অভিযোগ করে বলেন আমরা প্রতি বছরের মত এ বছর ও ভারতে তীর্থ স্থানে যাওয়ার জন্য বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ভারতে যাওয়ার সময় আমাদের ৭০ জন ধর্মীয় বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মধ্যে থেকে নোম্যান্সল্যান্ড থেকে ৯ জনকে ডেকে নিয়ে আসে। এরপর সাদা পোশাকের কয়েকজন লোক আমাদের কাস্টমস ভবনের দোতলায় নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন করে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা। কেন ভারত যাচ্ছি সাথে স্বর্ণ ডলার আছে কিনা , এত লোক এক সঙ্গে যাওয়ার কারন কি? অহেতুক প্রশ্ন করে দীর্ঘ সময় আমাদের নষ্ট করে। সাথে থাকা অন্য যাত্রীরা ভারত চলে যায়। তারা চলে গেলে আমাদের অসুবিধা হবে । এক সঙ্গে না গেলে থাকা খাওয়া ও ভ্রমনের নানান অসুবিধা হবে এ রকম কাকুতি মিনতি করলে ও কাস্টমসের মাসুদ রেজা নামে একজন ভদ্রলোক আমাদের ছাড়ে না। পরে আমারা জানতে পারে উনি কাস্টমসের একজন সহ কারি কমিশনার।
এ ব্যাপারে কাস্টমসের সহ কারি কমিশনার মাসুদ রেজার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এখন কিছু বলতে পারব না। আপনারা সাংবাদিক কিভাবে কাস্টমসের ভিতর প্রবেশ করলেন এটা তো বুঝতে পারলাম না। কথা বলতে হলে পরে বলব। তার জন্য কাস্টমস ভবনে প্রায় ১ ঘন্টা অপেক্ষা করার পর সে সাংবাদিকদের সাথে দেখা না করে সেখান থেকে চলে যায়।
বেনাপোল চেকপোষ্টের একটি সুত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নিকট থেকে ঘুষ আদায়ের জন্য তাদের দোতলায় নিয়ে যাওয়া হয়।
বৌদ্ধ ভিক্ষু মৃদুল চৌধুরী বলেন, আমরা সাধু সন্ন্যসী মানুষ ধর্মীয় কাজে তীর্থ স্থানে যাচ্ছি। অযথা আমাদের আটক করছে। অথচ সাড়ে তিন ঘন্টা এখানে বসে দেখলাম ভারত থেকে পন্য নিয়ে আসা কালোবাজারী লোকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে।
প্রতিদিন কাস্টমস তল্লাশি কেন্দ্র থেকে কয়েক জন ইন্সপেক্টার ভারত থেকে পাসপোর্ট যাত্রীদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আবুল বাশারের নিকট যাত্রী হয়রানি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের এখানে কোন যাত্রী হয়রানি হয় না। যাত্রীদের সেবা দেওয়ার জন্য সার্বোক্ষনিক আমি তদারকি করে থাকি। কাস্টমস বৌদ্ধ ভিক্ষুদের কেন আটক করে দির্ঘ সময় পার করেছে এরকম প্রশ্নে তিনি বলেন এটা কাস্টমসের ব্যাপার । কি জন্য আটক করেছে বা তাদের কাছে কোন গোপন তথ্য আছে কি না তা কাস্টমস বলতে পারবে।
একুশে মিডিয়া।
No comments:
Post a Comment