![]() |
একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে বিএনপির প্রার্থীর গণসংযোগে দুর্বৃৃত্তদের হামলায় প্রার্থীসহ প্রায় ২০ জন নেতা কর্মী আহতের খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানা যায়, বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ও ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত গ্রুপ ও বিএনপির দলীয় প্রার্থী জাফরুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে পুরনো বিরোধে ধাওয়া-পাল্টা হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।
বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের মধ্যম সরল গ্রামে আজ বুধবার ১৯ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সভাপতি, বাঁশখালীর সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি’র ধানের শীষ প্রার্থী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর গণসংযোগে সন্ত্রাসীরা গুলি বর্ষণ ও লাঠিপেটা করেছে।
ওই সময় সন্ত্রাসীদের উপর্যুপরি গুলি বর্ষণ, লাঠিপেটা ও ইটপাটকেলের আঘাতে বিএনপি প্রার্থীসহ অন্ততঃ ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানান বিএনপি’র নেতারা।
আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত ছাত্রদল নেতা মোশারফ ও শহীদুল্লাহকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্গম উপকূলীয় এলাকায় সংঘটিত হামলায় বাকীরা বিভিন্নস্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা যায়।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার জুবুরিয়া শারমীন বলেন হাসপাতলে কেউ চিকিৎসা নিতে আসেনি।
ঘটনার কিছুক্ষণ পর বাঁশখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলেই দুর্বৃৃত্তদরা পালিয়ে যায়। পুলিষ বিএনপি’র প্রার্থী জাফরুল ইসলামসহ নেতা-কর্মীদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
বিএনপি প্রার্থী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী একুশে মিডিয়াকে বলেন, এ সন্ত্রাসী হামলা নৌকার নেতা কর্মী সমর্থকরা করেছেন। বিএনপি’র গণজোয়ারে ঈর্ষান্বিত হয়ে এ হামলা করেছেন। তিনি আরও বলেন, আমি ৪ বার সংসদ সদস্য ও একবার প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় বাঁশখালীর কারো ক্ষতি ও দোষ করি নাই। তাহলে কেন সন্ত্রাসীরা আমার ওপর হামলা করেছে ? আমি কী দোষ করেছি ? আমাকে বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করে সন্ত্রাসীরা রক্তাক্ত করেছে । আমার নেতা কর্মীদের চরমভাবে আঘাত করেছে। সন্ত্রাসীরা ব্যাপক গুলি বর্ষণ করেছে।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মো: কামাল একুশে মিডিয়াকে বলেন, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্তে শুনলাম বিএনপি’র লিয়াকত গ্রুপ ও জাফরুল ইসলাম গ্রুপের মধে পুরনো বিরোধে ধাওয়া-পাল্টা হয়েছে। এখানে আওয়ামীলীগের কেউ কোন হামলা করেনি।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment