একুশে মিডিয়া, মুক্তমত রিপোর্ট:
লেখক-আনোয়ারা হোসেন:
ইংরেজি বছরের দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারি আসলে আমরা ভাষা নিয়ে গৌরবে উদ্ভাসিত থাকি এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উজ্জাপন করি। কিন্তু ভাষার সঠিক ইতিহাস আমাদের অনেকের জানা থাকেনা। ভাষা শহিদদের মর্যাদাও করতে জানিনা; কেননা অহংকার পতনের মূল এবং এটাই হয়েছে বাঙ্গালীর। যে ভাষা নিয়ে আমরা অহংকার করি, তার পতনও আমাদের কর্মে করি। দেশীয় বিজ্ঞাপন সহ সকল স্থানে বাংলার সাথে বিদেশী ভাষার ব্যবহার করতে পারলে নিজেদের মর্যাদাপূর্ণ মনে করে থাকি।
অথচ আজকের এ ভাষা পেতে আন্দোলন করতে হয়েছিল। তা ছিল পূর্ব পাকিস্তান (১৯৪৭-১৯৭১ বর্তমান বাংলাদেশ) -এ সংঘটিত একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন। মৌলিক অধিকার রক্ষাকল্পে বাংলা ভাষাকে ঘিরে সৃষ্ট এ আন্দোলনের মাধ্যমে তৎকালীন পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণ দাবীর বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে এ আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ ধারণ করলেও বস্তুত এর বীজ রোপিত হয়েছিল বহু আগে, অন্যদিকে এর প্রতিক্রিয়া এবং ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ব্রিটিশ ভারত ভাগ হয়ে পাকিস্তানের উদ্ভব হয়।
কিন্তু পাকিস্তানের দু’টি অংশ ছিল পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তান। সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক ও ভাষাগত দিক থেকে অনেক মৌলিক পার্থক্য বিরাজ করছিল দু’পাকিস্তানে। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান সরকার ঘোষণা করে যে, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এ ঘোষণার প্রেক্ষাপটে পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থানকারী বাংলাভাষী সাধারণ জনগণের মধ্যে গভীর ক্ষোভের জন্ম হয় ও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।
পূর্ব পাকিস্তান অংশের বাংলাভাষী মানুষ আকস্মিক এ সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেনি এবং মানসিকভাবে মোটেও প্রস্তুত ছিল না। ফলস্বরূপ বাংলা ভাষার মর্যাদার দাবিতে পূর্ব পাকিস্তানে আন্দোলন দ্রুত দানা বেঁধে ওঠে। আন্দোলন দমনে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে ঢাকা শহরে সমাবেশ-মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি (৮ ফাল্গুন ১৩৫৮) এ আদেশ অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু সংখ্যক ছাত্র ও প্রগতিশীল কিছু রাজনৈতিক-কর্মী মিলে মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের কাছাকাছি এলে পুলিশ ১৪৪ ধারা অবমাননার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে নিহত হন ‘বাদামতলী কমার্শিয়াল প্রেসের মালিকের ছেলে রফিক, তেজোদীপ্ত তরুণ সালাম, এম. এ. ক্লাসের ছাত্র বরকত ও আব্দুল জব্বার সহ আরও অনেকে।
এছাড়া ১৭ জন ছাত্র-যুবক আহত হয়। শহীদদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়ে ওঠে। শোকাবহ এ ঘটনার অভিঘাতে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ২১ ফেব্রুয়ারির ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে বিদ্রোহের আগুন দাউ-দাউ করে জ্বলে ওঠে। ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারির ছাত্র, শ্রমিক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক ও সাধারণ জনতা পূর্ণ হরতাল পালন করে এবং সভা-শোভাযাত্রাসহকারে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে। ২২ ফেব্রুয়ারির পুলিশের গুলিতে শহীদ হন ‘শফিউর রহমান শফিক বলে পরিচিত, রিক্সাচালক আউয়াল এবং এক কিশোর।’ ২৩ ফেব্রুয়ারির ফুলবাড়িয়ায় ছাত্র-জনতার মিছিলেও পুলিশ অত্যাচার-নিপীড়ন চালায়। এ নির্লজ্জ, পাশবিক, পুলিশি হামলার প্রতিবাদে মুসলিম লীগ সংসদীয় দল থেকে সেদিনই পদত্যাগ করেন।
ভাষা আন্দোলনের শহীদ স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার জন্য মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গনে রাতারাতি ছাত্রদের দ্বারা গড়ে ওঠে শহীদ মিনার, যা ২৪ ফেব্রুয়ারির উদ্বোধন করেন শহীদ শফিউর রহমানের পিতা। ২৬ ফেব্রুয়ারির আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ মিনারের উদ্বোধন করেন দৈনিক আজাদ পত্রিকার সম্পাদক জনাব আবুল কালাম শামসুদ্দীন। ক্রমবর্ধমান গণআন্দোলনের মুখে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয় এবং ১৯৫৬ সালে সংবিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি প্রদান করে।
১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো বাংলা ভাষা আন্দোলন, মানুষের ভাষা এবং কৃষ্টির অধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে যা বৈশ্বিক পর্যায়ে গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদযাপন করা হয়। এত রক্ত আর সংগ্রামের মাধ্যমে পেয়েছি আজকের বাংলা ভাষা। একটু চিন্তা করে দেখুন আমরা ভাষার জন্য প্রাণ দেওয়া শহীদদের সম্মান ও আমাদের সাংস্কৃতিক সঠিক চর্চা করতে পারছি ? আমরা কি পারিনা, বাংলার ইতিহাস আর ভাষার প্রতি সম্মান দেখিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারির স্থানে ০৯ ফাল্গুন (১৪২৫ বাংলা) লিখে মাতৃভাষা দিবস উজ্জাপন করতে ? তবেই তো আমরা বাঙ্গালী জাতি হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করতে পারবো।
আধুনিকতার নামে আমাদের ইতিহাস ও সাংস্কৃতিকে ফাঁসির মঞ্চে তুলে পেলেছি; তাই বলা যায় ‘স্বাধীন দেশ হয়েছে ভাষা হয়নি।’ এখনো সময় আছে ভাষার সঠিক ব্যবহার এবং দেশীয় সাংস্কৃতিক চর্চা শুরু করার। একটি দিনে মুখে বাঙ্গালী বলার জন্য এ ভাষা আন্দোলন হয় নাই। দেশের সকল স্থানে আস্তে-আস্তে বাংলার প্রচলন বন্ধ করে ইংরেজি প্রচলন চলছে অধুনিকতার নামে। এ কেমন বাঙ্গালী আমরা, মাতৃভাষার মর্যাদা দিতে জানিনা ! জাতির কাছে আমি জানতে চাই, মুক্তিযোদ্ধ হওয়ার পিছনে কি ছিল; মাতৃভাষা-না কি মাতৃভূমি ?
বাঙ্গালী আজ বাংলা ভাষাকে ভুলে গিয়ে বিদেশী সংস্কৃতি ও ভাষা চর্চা শুরু করে চলছে। নিজেকে ভদ্র আর শিক্ষিত প্রমাণ করার জন্য বাংলার সাথে বিদেশী ভাষার সংযোগ করে কথা বলা ব্যক্তি কি বাঙ্গালী হতে পারে ? একটু লক্ষ্য করে দেখুন আমরা কতটা বাংলার সঠিক চর্চা করতে পারছি। ভাষার প্রতি মর্যাদা করতে হয় তা দিবস ছাড়া আমাদের মনেও থাকে না। বর্তমান দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক অঙ্গনে লক্ষ্য করলে দেখবেন ভাষা কতটুকু স্বাধীন হয়ছে। আসুন মাতৃভাষার সঠিক চর্চা ও বাংলা ভাষার প্রতি সম্মান দেখিয়ে ০৯ ফাল্গুন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উজ্জাপন করি।
আানোয়ার হোসেন।
সাংবাদিক ও লেখক
অথচ আজকের এ ভাষা পেতে আন্দোলন করতে হয়েছিল। তা ছিল পূর্ব পাকিস্তান (১৯৪৭-১৯৭১ বর্তমান বাংলাদেশ) -এ সংঘটিত একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন। মৌলিক অধিকার রক্ষাকল্পে বাংলা ভাষাকে ঘিরে সৃষ্ট এ আন্দোলনের মাধ্যমে তৎকালীন পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণ দাবীর বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে এ আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ ধারণ করলেও বস্তুত এর বীজ রোপিত হয়েছিল বহু আগে, অন্যদিকে এর প্রতিক্রিয়া এবং ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ব্রিটিশ ভারত ভাগ হয়ে পাকিস্তানের উদ্ভব হয়।
কিন্তু পাকিস্তানের দু’টি অংশ ছিল পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তান। সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক ও ভাষাগত দিক থেকে অনেক মৌলিক পার্থক্য বিরাজ করছিল দু’পাকিস্তানে। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান সরকার ঘোষণা করে যে, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এ ঘোষণার প্রেক্ষাপটে পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থানকারী বাংলাভাষী সাধারণ জনগণের মধ্যে গভীর ক্ষোভের জন্ম হয় ও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।
পূর্ব পাকিস্তান অংশের বাংলাভাষী মানুষ আকস্মিক এ সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেনি এবং মানসিকভাবে মোটেও প্রস্তুত ছিল না। ফলস্বরূপ বাংলা ভাষার মর্যাদার দাবিতে পূর্ব পাকিস্তানে আন্দোলন দ্রুত দানা বেঁধে ওঠে। আন্দোলন দমনে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে ঢাকা শহরে সমাবেশ-মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি (৮ ফাল্গুন ১৩৫৮) এ আদেশ অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু সংখ্যক ছাত্র ও প্রগতিশীল কিছু রাজনৈতিক-কর্মী মিলে মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের কাছাকাছি এলে পুলিশ ১৪৪ ধারা অবমাননার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে নিহত হন ‘বাদামতলী কমার্শিয়াল প্রেসের মালিকের ছেলে রফিক, তেজোদীপ্ত তরুণ সালাম, এম. এ. ক্লাসের ছাত্র বরকত ও আব্দুল জব্বার সহ আরও অনেকে।
এছাড়া ১৭ জন ছাত্র-যুবক আহত হয়। শহীদদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়ে ওঠে। শোকাবহ এ ঘটনার অভিঘাতে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ২১ ফেব্রুয়ারির ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে বিদ্রোহের আগুন দাউ-দাউ করে জ্বলে ওঠে। ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারির ছাত্র, শ্রমিক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক ও সাধারণ জনতা পূর্ণ হরতাল পালন করে এবং সভা-শোভাযাত্রাসহকারে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে। ২২ ফেব্রুয়ারির পুলিশের গুলিতে শহীদ হন ‘শফিউর রহমান শফিক বলে পরিচিত, রিক্সাচালক আউয়াল এবং এক কিশোর।’ ২৩ ফেব্রুয়ারির ফুলবাড়িয়ায় ছাত্র-জনতার মিছিলেও পুলিশ অত্যাচার-নিপীড়ন চালায়। এ নির্লজ্জ, পাশবিক, পুলিশি হামলার প্রতিবাদে মুসলিম লীগ সংসদীয় দল থেকে সেদিনই পদত্যাগ করেন।
ভাষা আন্দোলনের শহীদ স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার জন্য মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গনে রাতারাতি ছাত্রদের দ্বারা গড়ে ওঠে শহীদ মিনার, যা ২৪ ফেব্রুয়ারির উদ্বোধন করেন শহীদ শফিউর রহমানের পিতা। ২৬ ফেব্রুয়ারির আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ মিনারের উদ্বোধন করেন দৈনিক আজাদ পত্রিকার সম্পাদক জনাব আবুল কালাম শামসুদ্দীন। ক্রমবর্ধমান গণআন্দোলনের মুখে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয় এবং ১৯৫৬ সালে সংবিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি প্রদান করে।
১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো বাংলা ভাষা আন্দোলন, মানুষের ভাষা এবং কৃষ্টির অধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে যা বৈশ্বিক পর্যায়ে গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদযাপন করা হয়। এত রক্ত আর সংগ্রামের মাধ্যমে পেয়েছি আজকের বাংলা ভাষা। একটু চিন্তা করে দেখুন আমরা ভাষার জন্য প্রাণ দেওয়া শহীদদের সম্মান ও আমাদের সাংস্কৃতিক সঠিক চর্চা করতে পারছি ? আমরা কি পারিনা, বাংলার ইতিহাস আর ভাষার প্রতি সম্মান দেখিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারির স্থানে ০৯ ফাল্গুন (১৪২৫ বাংলা) লিখে মাতৃভাষা দিবস উজ্জাপন করতে ? তবেই তো আমরা বাঙ্গালী জাতি হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করতে পারবো।
আধুনিকতার নামে আমাদের ইতিহাস ও সাংস্কৃতিকে ফাঁসির মঞ্চে তুলে পেলেছি; তাই বলা যায় ‘স্বাধীন দেশ হয়েছে ভাষা হয়নি।’ এখনো সময় আছে ভাষার সঠিক ব্যবহার এবং দেশীয় সাংস্কৃতিক চর্চা শুরু করার। একটি দিনে মুখে বাঙ্গালী বলার জন্য এ ভাষা আন্দোলন হয় নাই। দেশের সকল স্থানে আস্তে-আস্তে বাংলার প্রচলন বন্ধ করে ইংরেজি প্রচলন চলছে অধুনিকতার নামে। এ কেমন বাঙ্গালী আমরা, মাতৃভাষার মর্যাদা দিতে জানিনা ! জাতির কাছে আমি জানতে চাই, মুক্তিযোদ্ধ হওয়ার পিছনে কি ছিল; মাতৃভাষা-না কি মাতৃভূমি ?
বাঙ্গালী আজ বাংলা ভাষাকে ভুলে গিয়ে বিদেশী সংস্কৃতি ও ভাষা চর্চা শুরু করে চলছে। নিজেকে ভদ্র আর শিক্ষিত প্রমাণ করার জন্য বাংলার সাথে বিদেশী ভাষার সংযোগ করে কথা বলা ব্যক্তি কি বাঙ্গালী হতে পারে ? একটু লক্ষ্য করে দেখুন আমরা কতটা বাংলার সঠিক চর্চা করতে পারছি। ভাষার প্রতি মর্যাদা করতে হয় তা দিবস ছাড়া আমাদের মনেও থাকে না। বর্তমান দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক অঙ্গনে লক্ষ্য করলে দেখবেন ভাষা কতটুকু স্বাধীন হয়ছে। আসুন মাতৃভাষার সঠিক চর্চা ও বাংলা ভাষার প্রতি সম্মান দেখিয়ে ০৯ ফাল্গুন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উজ্জাপন করি।
আানোয়ার হোসেন।
সাংবাদিক ও লেখক
No comments:
Post a Comment