![]() |
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জনমনে প্রার্থী যাচাই বাচাইয়ের ঝড় উঠেছে। গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ভোটারদের মাঝে ঝল্পনা কল্পনার শেষ নেই।
ক্ষমতাসীন সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য যে ব্যক্তি অক্লান্ত পরিশ্রম করে দ্বীপকে মানুষের মাঝে মডেল হিসেবে উপহার দিতে পারবে তাকেই খোজছে ভোটারগণ।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী ঘোষনা নেয়ার জন্য অনেক প্রার্থী মরিয়া হয়ে এমপি/মন্ত্রির নিকট ধর্ণা দিচ্ছে।
আবার অনেকে নিজের যোগ্যতাকে পুঁজি করে এলাকায় এলাকায় প্রচারণা শুরু করেছে। পারিবারিক যে কোন অনুষ্ঠান হলে সেখানে গিয়ে হাজির হচ্ছে প্রার্থীরা। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে হাট বাজারে সরকারের উন্নয়ন আর অর্থনৈতিক চাকা পরিবর্তনে যে সরকার জনমনে স্বস্তি ফিরে এনে দিয়েছে সে সরকারের যোগ্য প্রার্থীকে খোঁজে বেড়াচ্ছে ভোটারগণ।
দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ ভোটারগণ কেমন প্রার্থীকে বিবেচনায় রাখছে তা মাঠ জরীপ করলে বেরিয়ে আসে।
তারই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামীলীগ সরকারের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধূরী নাম প্রথম সারিতে চলে আসে।
তিনি ২০০১ সনের ১ অক্টোবর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে (আলহাজ এড্ ফরিদুল ইসলাম চৌধূরী) সেই সময়ে বিএনপি সরকার শাসন আমলে কক্সবাজার -২ কুতুবদিয়া- মহেশখালী আসনে নির্বাচন করেন।
তবে আওয়ামীলীগের র্দূ-দিনের সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে চ্যালেঞ্জের মুখে থেকে এখনো পর্যন্ত আওয়ামীলীগের পক্ষে নিবেদিত প্রাণে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
সে সময় থেকে এ পর্যন্ত দলীয় কর্মসূচী ছাড়াও বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজ এবং সামাজিক কাজে জড়িত থেকে সাধারণ মানুষের মন জয় করে বেঁচে আছেন। তাহার ব্যক্তিগত জীবনে অনেক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।
এরমধ্যে ১৯৯০ সনে জাতীয় পাটির শাসন আমলে জাতীয় পাটির প্রার্থী আলহাজ মনজুর আলম সিকদারের বিপক্ষে ভোট করে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আলহাজ এড ফরিদুল ইসলাম চৌধূরী।
তিনি দলীয় পরিচিতি ছাড়াও ব্যাক্তিগত ইমেজে মানুষের মনে আস্তা অর্জন করে ১৯৯৭ সনে বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিল। বিগত ২০০৯ সনে কক্সবাজার জেলা আইনজীবি (বার) সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন।
সর্বশেষ ২০১৬ সনে বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগের দলীয় নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি ১৯৬৮ সন থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের বৃহত্তম দল আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে বর্তমানে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আসীন আছেন।
সামাজিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত থেকে সেবামুলক কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বড়ঘোপ ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি, কুতুবদিয়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং কুতুবদিয়া মহিলা ডিগ্রি কলেজের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
কুতুবদিয়া দ্বীপের প্রতিষ্ঠিত পরিবার মাতবর বাড়ির সন্তান হলেও দীর্ঘ প্রায় ৩৪ বছর কক্সবাজার জেলা জজ কোর্টে আইনজীবি পেশায় নিয়োজিত থেকে কুতুবদিয়া দ্বীপের গরীব দূঃখী মেহনতি মানুষের সেবা করে আস্থা অর্জন করে নিয়েছে।
বিপদ কালে যাকে কাছে পেয়েছে তার নাম স্বরণ করে ভোটাররা তপশীল ঘোষনার পূর্বেই প্রচারণা শুরু করে দিয়েছে ফরিদুল ইসলাম চৌধূরীর পক্ষে। দৃশ্যটি দেখে মনে হয় উপকার সাড়া জাগিয়ে।
রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে সাধারণ মানুষকে সহযোগীতা ও বিপদকালে উপকার করেছে তারা এখন তাহার কথা বলছে।
দ্বীপের মানুষ আলহাজ এড্ ফরিদুল ইসলাম চৌধূরীকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে মাঠে ময়দানে তাহাকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ




No comments:
Post a Comment