পলাশবাড়ীতে ক্লিনিক ও নাসিং হোমে এমআর এর নামে অবৈধ গর্ভপাত বৃদ্ধি!। একুশে মিডিয়া - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

ক্লিক করুন

Breaking News

Home Top Ad

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Monday, 29 July 2019

পলাশবাড়ীতে ক্লিনিক ও নাসিং হোমে এমআর এর নামে অবৈধ গর্ভপাত বৃদ্ধি!। একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:>>>
মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে সেই মাসিক নিয়মিত করার এক ধরনের চিকিৎসার নামই এমআর (মিন্সট্রুয়াল রেগুলেশন)৷=
আইনের ভাষায় এটাকে গর্ভপাত বলা হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গর্ভধারণের কারণেই মাসিক বন্ধ হয়ে যায়৷ তখন একটা নির্দিষ্ট সময় পযর্ন্ত এমআর করার সুযোগ থাকে। মূলত গর্ভপাত বন্ধ করতে একটা সময় এমআরকে বৈধতা দেওয়া হয়। এমআর  করা গেলে তিন মাস পরে আর গর্ভপাত করার প্রয়োজন হবে না।=
তবে এমআরের সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। এটি ব্যবহার হচ্ছে অনাকাঙিক্ষত সন্তানকে হত্যা করতে এমন দাবি করছে সংশ্লিষ্টরা।=
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে প্রতিদিন কম বেশি নারীকে এমআর এর নামে অনাকাঙিক্ষত গর্ভপাত করানো হচ্ছে। =
সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে দেখাযায় পলাশবাড়ী উপজেলা সদরের বেশ কয়েকটি অবৈধ ক্লিনিক, নাসিং হোম ও হাসপাতালের ষ্টাফ নার্সদের বাসায় এম আর এর নামে এসব অবৈধ গর্ভপাত করানো হচ্ছে।=
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানান পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স আমেনা বেমম ঝর্না সহ আরো ২/৩ জন সিনিয়র ষ্টাফ নার্স এই অবৈধ গর্ভপাতের সাথে জরিত।=
একশ্রেণির নারী দালালকে কাজে লাগিয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তারা এসব কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।শুধু বিবাহিত নারীই না অবৈধ সম্পর্কে জরানো নারীদের পেটে সন্তান আসলে লোক লজ্জার ভয় কিংবা সামাজিকতার কারনে তারা বাচ্চা নষ্ট করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করলে এই সব ক্লিনিকের সরনাপন্ন হয়।
গর্ভপাত করার পর ভ্রন গুলো রাস্তার পাশের ড্রেন, টয়লেটের সেফটি ট্যাংক, কিংবা পরিত্যাক্ত স্থানে ফেলে রাখা হয়। পৃথিবীর মুখ দেখার আগেই এই সব ভ্রন শিয়াল কুকুরের মুখের খাবার হয়ে যায়।যা অমানবিক! =
চিকিৎসকরা জানান এমআর-এর মাধ্যমেই বাংলাদেশে গর্ভপাতকে এক ধরনের বৈধতা দেয়া হয়েছে৷ সামাজিক এবং ধর্মীয় কারণে হয়ত সরাসরি গর্ভপাতকে বৈধতা দেয়া যায় না, কিন্তু অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ এড়াতে এর প্রয়োজন আছে৷=
বাংলাদেশের আইনে শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শে মায়ের জীবন বাঁচাতে গর্ভপাতের সুযোগ আছে৷ তবে এ সুযোগে ছোট ছোট হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ‘গর্ভপাতের` যে ব্যবসা গড়ে উঠেছে, তা ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ, সেখানে প্রশিক্ষিত ডাক্তার নাই৷ আয়া বা নার্স দিয়েই গর্ভপাতের কাজ করা হচ্ছে৷ এর ফলে কখনও কখনও গর্ভবর্তী মারা যান৷ আবার কখনো তার মা হওয়ার সক্ষমতা শেষ হয়ে যায় অথবা জটিল কোনো রোগে আক্রান্ত হন৷ =
সরকারের উচিত এসব অবৈধ ক্লিনিক ও নার্সদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা।=
 
 
 
একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages