![]() |
মোঃ মনিরুল ইসলাম, কুতুবদিয়া:>>>
কক্সবাজার জেলাধীন কুতুবদিয়া দ্বীপে প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় ও জলোস্বারের কারণে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে অধিকাংশ গ্রামের বসতবাড়ি, চাষাবাদ জমি, গৃহপালিত পশু, গাছ-পালা, মৎস চাষসহ বিভিন্ন সম্পদ। প্রতি বছর কুতুবদিয়ার জনসাধারন, স্থানীয় সরকার থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদ সদস্য সহ সরকারে পানি সম্পদ মন্ত্রীর কাছে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করে ক্ষতিগ্রস্থের বৃহত্তর সমস্যার কথা তুলে ধরে। সাগরের পানিতে কুতুবদিয়া দ্বীপ প্লাবিত সংবাদ পেয়ে ছুটে আসে মন্ত্রী, এমপি, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পদের কর্মকর্তারা। সরকারের পক্ষ থেকে টেকসই বেড়িবাধেঁর কাজের জন্য অর্থ অনুমোদন করেন। সরকারের মাধ্যমে প্রতি বছর বেড়িবাঁধ রক্ষার কাজ দেখা গেলেও কাজগুলো টেকসই না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বারবার মেরামত করা তাদের বসতবাড়িসহ প্রয়োজনীয় সম্পদ।
কক্সবাজার জেলাধীন কুতুবদিয়া দ্বীপে প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় ও জলোস্বারের কারণে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে অধিকাংশ গ্রামের বসতবাড়ি, চাষাবাদ জমি, গৃহপালিত পশু, গাছ-পালা, মৎস চাষসহ বিভিন্ন সম্পদ। প্রতি বছর কুতুবদিয়ার জনসাধারন, স্থানীয় সরকার থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদ সদস্য সহ সরকারে পানি সম্পদ মন্ত্রীর কাছে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করে ক্ষতিগ্রস্থের বৃহত্তর সমস্যার কথা তুলে ধরে। সাগরের পানিতে কুতুবদিয়া দ্বীপ প্লাবিত সংবাদ পেয়ে ছুটে আসে মন্ত্রী, এমপি, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পদের কর্মকর্তারা। সরকারের পক্ষ থেকে টেকসই বেড়িবাধেঁর কাজের জন্য অর্থ অনুমোদন করেন। সরকারের মাধ্যমে প্রতি বছর বেড়িবাঁধ রক্ষার কাজ দেখা গেলেও কাজগুলো টেকসই না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বারবার মেরামত করা তাদের বসতবাড়িসহ প্রয়োজনীয় সম্পদ।
কুতুবদিয়া দ্বীপের সর্বস্থরের জনসাধারণে মুখের এক কথা
ভিক্ষা চাইনা, বেড়িবাঁধ চাই। ভিক্ষা চাইনা, বিদ্যুৎ চাই। দ্বীপের মানুষ খুব
দ্রুত তাদের বেড়িবাঁধ রক্ষা হবে প্রত্যাশায় বুক বেধে চেয়ে আছে । কিন্তু
প্রতি বছর জনপ্রতিনিধিদের পরিদর্শন, প্রচার থাকলেও নিয়মিত পানিতে হচ্ছে
দ্বীপের সহজ-সরল মানুষেকে। অন্যান্য বছরের ন্যায় এবছরও বর্ষামৌসুমে সাগরের
আমবশ্যার জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেলে দ্বীপের ভাঙ্গন বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি
প্রবেশ করে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের কাহারপাড়া,তেলিপাড়া,পশ্চিম
তাবলরচর,আনিচের ডেইল, কুমিরারছড়া জেলেপাড়া, বড়ঘোপ ইউনিয়নের অমজাখালী
মুরালিয়া,আজম কলোনী, মিয়ারঘোনা, লেমখীখালী ইউনিয়নের সতরুদ্দিন, পেয়ারাকাটা,
উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের ফয়জানির বাপের পাড়া, আকবরবলী পাড়া নয়াকাটা,
কাইছারপাড়া, কুইলারটেক এলাকাসহ ৩ ইউনিয়নের প্রায় ২০ কিলোমিটার বেঁড়িবাধ
সম্পূর্ণ বিলীন থাকায় উক্ত এলাকায় অমাবশ্যার জোয়ারে গ্রাম প্লাবিত হয়ে
ক্ষতিগ্রস্থ হয় বসতবাড়ি, চাষাবাদ জমি, মৎস চাষ, গাছপালা, পশুসহ প্রয়োজনীয়
সম্পদ। ওই সব এলাকায় জোয়ারে পানি থাকায়, রান্নাবান্না করতে না পেরে অনাহারে
দিন কাটাতে হয় শতাধিক পরিবারের। অনেকে পাশ^বর্তি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয়
নেয়। আবার অনেকেই এলাকায় পানি বন্দিতে খাওয়ার পানির চরম সংকটে থাকে।
কুতুবদিয়ায় নিয়মিত আসছে সাগরের পানি, বাসছে দ্বীপের মানুষ। মানুর্ষেও
দুর্দশা দেখে কুতুবদিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও বড়ঘোপ ইউপি
নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আ.ন.ম শহীদ উদ্দিন ছোটন নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি
অনুযায়ী নির্বাচনী এলাকার মুরালিয়া গ্রামের ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমের
জনসাধারণকে নিয়ে বেড়িবাঁধ রক্ষার জন্য উদ্দ্যোগ নেয়।
ইউপি চেয়ারম্যান ছোটন
জোয়ারের পানি টেকাতে বাঁেশর কুটি, বাশঁ দিয়ে তৈরি বেড়া, ছোট ছোট মাটি ও
বালির বস্তা ব্যবস্থায় বেড়িবাধ রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রায় এক
সপ্তাহ ধরে সাগর পাড়ে ভাঙ্গন বেড়িবাধেঁঁর উভয়পাশ বাশেঁর কুটিতে বেড়া গুলো
আটকে দিয়ে মাঝখানে মাটি দিয়ে বেড়িবাঁধ রক্ষার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
কাজের
শুরু থেকে সারাদিন স্বেচ্ছাশ্রমে নিয়োজিত শ্রমিকদের সাথে শ্রমিকের কাজ করে
যাচ্ছেন ছোটন চেয়ারম্যান নিজেও। তিনি শ্রমিকদের সাথে বাশেঁর কুটি ও মাটি
দেওয়া, বাশেঁর বেড়া তৈরিসহ শ্রমিকদের কে বিভিন্ন দিকনির্দেশানার কাজে
সরাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত কাজ চলমান রয়েছে। স্থানীয়
বড়ঘোপ ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচনী এলাকার জনসাধারনকে নিয়ে বেড়িবাঁেধ বড়
ভাঙ্গন অসম্ভব কাজকে সম্ভবের উদ্দ্যোগ গ্রহণ করায় স্বাগতম জানিয়েছেন
দ্বীপের সর্বস্থরের জনসাধারন।
কক্সবাজার-২ কুতুবদিয়া-মহেশখালী)র সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক, কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধূরী, কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুপ্রভাত চাকমা, কোষ্টট্রাস্ট এনজিও, এলাকার সর্বস্থরের জনসাধারনসহ সকলের সম্মেলিত সার্বিক সহযোগিতায় কোন রকম পানি টেকানোর এই কাজ সহজভাবে সফল হচ্ছে বলে স্থানীয় বড়ঘোপ ইউপি নর্বনিবাচিত চেয়ারম্যান আ.ন.ম শহীদ উদ্দিন ছোটন জানান। তিনি আরো বলেন- মুরালিয়া, অমজাখালী,আজম কলোনী,মিয়ারঘোনা এলাকায় প্রায় ৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভাংগা থাকায় চলতি গেল পূর্ণিমার জোয়ার আর চলমান অমাবশ্যা জোয়ারে নোনা পানি ঢুকে লোকালয়ে ব্যাপক এলাকার প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় শতশত ঘরবাড়ি ও লবনাক্ত পানিতে কয়েকশত একর ফসলি জমি প্লাবিত হচ্ছে। দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ বাধেঁর ব্যবস্থা করতে সরকারের কাছে জোর আবেদন জানাচ্ছি।
উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল মোনাফ ও উপজেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান- কুতুবদিয়ায় জনসাধারণে সমস্যার মধ্যে দুইটি বড় সমস্যা একটি হল বেড়িবাধঁ অপরটি হল বিদ্যুৎ। সরকারের কাছে দ্বীপের সর্বস্থরের জনসাধারনের কষ্টের কথা বিবেচনা করে দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ ও বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
কুতুবদিয়া উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর জানান, কুতুবদিয়ায় চর্তুপাশে টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রতি বছর দণি মুরালিয়া, অমজাখালী,আজম কলোনী, কৈয়ারবিল মলমচর,উত্তর কৈয়ারবিল, মহাজনপাড়া, মফজল ডিলার পাড়া, বাতিঘর পাড়া,কাইছারপাড়া, নয়াকাটা, আকবরবলী ঘাট, ফয়জানিরবাপের পাড়া, পূর্ব নয়াকাটা, উত্তর সতর উদ্দিন,পেয়ারাকাটা, ক্রসডেম বিসিক এলাকায় জোয়ারের নোনা পানি ডুকে ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়ে থাকে। বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনে প্রতিবছর কাজ করা হলেও তা সাগরে বিলিন হয়ে যাচ্ছে । কুতুবদিয়াকে রক্ষা করতে টেকসই বেড়িবাঁধ জরুরী প্রয়োজন। দ্রুত কাজ বাস্তবায়নে প্রত্যাশা করছে সর্বস্থরের জনগন।
কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আলহাজ ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কুতুবদিয়ায় বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ও আমাবশ্যার জোয়ারে ভাঙ্গন বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে বড়ঘোপ, উত্তর ধূরুং, আলী আকবর ডেইল, লেমশীখালী, দক্ষিণ ধূরুং, কৈয়ারবিল ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রাম ক্ষতিগ্রস্থ ও প্লাবিত হয়।
কক্সবাজার-২ কুতুবদিয়া-মহেশখালী)র সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক, কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধূরী, কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুপ্রভাত চাকমা, কোষ্টট্রাস্ট এনজিও, এলাকার সর্বস্থরের জনসাধারনসহ সকলের সম্মেলিত সার্বিক সহযোগিতায় কোন রকম পানি টেকানোর এই কাজ সহজভাবে সফল হচ্ছে বলে স্থানীয় বড়ঘোপ ইউপি নর্বনিবাচিত চেয়ারম্যান আ.ন.ম শহীদ উদ্দিন ছোটন জানান। তিনি আরো বলেন- মুরালিয়া, অমজাখালী,আজম কলোনী,মিয়ারঘোনা এলাকায় প্রায় ৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভাংগা থাকায় চলতি গেল পূর্ণিমার জোয়ার আর চলমান অমাবশ্যা জোয়ারে নোনা পানি ঢুকে লোকালয়ে ব্যাপক এলাকার প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় শতশত ঘরবাড়ি ও লবনাক্ত পানিতে কয়েকশত একর ফসলি জমি প্লাবিত হচ্ছে। দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ বাধেঁর ব্যবস্থা করতে সরকারের কাছে জোর আবেদন জানাচ্ছি।
উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল মোনাফ ও উপজেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান- কুতুবদিয়ায় জনসাধারণে সমস্যার মধ্যে দুইটি বড় সমস্যা একটি হল বেড়িবাধঁ অপরটি হল বিদ্যুৎ। সরকারের কাছে দ্বীপের সর্বস্থরের জনসাধারনের কষ্টের কথা বিবেচনা করে দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ ও বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
কুতুবদিয়া উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর জানান, কুতুবদিয়ায় চর্তুপাশে টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রতি বছর দণি মুরালিয়া, অমজাখালী,আজম কলোনী, কৈয়ারবিল মলমচর,উত্তর কৈয়ারবিল, মহাজনপাড়া, মফজল ডিলার পাড়া, বাতিঘর পাড়া,কাইছারপাড়া, নয়াকাটা, আকবরবলী ঘাট, ফয়জানিরবাপের পাড়া, পূর্ব নয়াকাটা, উত্তর সতর উদ্দিন,পেয়ারাকাটা, ক্রসডেম বিসিক এলাকায় জোয়ারের নোনা পানি ডুকে ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়ে থাকে। বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনে প্রতিবছর কাজ করা হলেও তা সাগরে বিলিন হয়ে যাচ্ছে । কুতুবদিয়াকে রক্ষা করতে টেকসই বেড়িবাঁধ জরুরী প্রয়োজন। দ্রুত কাজ বাস্তবায়নে প্রত্যাশা করছে সর্বস্থরের জনগন।
কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আলহাজ ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কুতুবদিয়ায় বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ও আমাবশ্যার জোয়ারে ভাঙ্গন বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে বড়ঘোপ, উত্তর ধূরুং, আলী আকবর ডেইল, লেমশীখালী, দক্ষিণ ধূরুং, কৈয়ারবিল ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রাম ক্ষতিগ্রস্থ ও প্লাবিত হয়।
আমাদের জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী
এনামুল হক শামীম, সচিব, কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া)’র সংসদ সদস্য
আশেক উল্লাহ রফিক কথা বলেছেন এবং আমরাও কথা বলেছি। হয়তো আগামী ১ সপ্তাহের
মধ্যে ওনারা নিজেরা এসে সরজমিনে পরিদর্শন করে যাবেন। বর্তমানে আমাদের সবার
সম্মেলিত প্রচেষ্টায় মুরালিয়া গ্রামে যে বাধঁটি দিয়ে যাচ্ছি, তা কোন রকম
জোয়ারের পানি টেকানোর চেষ্টা চলছে। কুতুবদিয়ায় স্থায়ী বেড়িবাঁেধর কাজের
জন্য জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়েছেন। যা কাজের প্রক্রিয়া
চলমান। টেকসই বেড়িবাঁধ রক্ষায় আরো এক থেকে দেড় কোটি টাকা প্রয়োজন হবে বলে
জানান তিনি।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ




No comments:
Post a Comment