ঘোড়াশালে রেলসেতু যেন মরণফাঁদ স্লীপারে ফাটল-লোহার নাটের পরিবর্তে কাঠ! - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

ক্লিক করুন

Breaking News

Home Top Ad

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Wednesday, 6 November 2019

ঘোড়াশালে রেলসেতু যেন মরণফাঁদ স্লীপারে ফাটল-লোহার নাটের পরিবর্তে কাঠ!


প্রতিবেদক- আল আমিন মুন্সী:>>>
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর নির্মিত পুরাতন রেল সেতটিু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেতুটির অধিকাংশ স্থানে লোহার বোল্টুর পরিবর্তে দেওয়া হয়েছে কাঠের গোজ। এছাড়া সেতুতে কাঠের তৈরি সিøপার গুলোও নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ঝুঁকিতে রয়েছে শতবর্ষী  এই রেল সেতুটি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সেতুর সাথে রেললাইনের আটকানো ক্লিপ বেশ কিছু স্থানে নেই। কিন্তু সেখানে লোহার বোল্টু বা নাট দিয়ে আটকানোর কথা থাকলেও কাঠের গোজ দিয়ে আটকানো হয়েছে। আবার অনেক স্থানে লোহার বোল্টু পাওয়া যায়নি। এছাড়া সেতুটিতে অনেক কাঠের সিøপার নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে লোহার নাটগুলো নাড়াচাড়া বা হাত দিয়ে টেনে তোলা যাচ্ছে। সেতুর একপাশে লোহার পাতগুলো খুলে রয়েছে। পুরো সেতু জুড়ে এমনচিত্র দেখা গেছে। ঘোড়াশাল রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর নির্মিত এই শতবর্ষী রেল সেতুটি দিয়ে ঢাকা, চট্রোগ্রাম ও সিলেট রোডে প্রতিদিন ২১ টি ট্রেন চলাচল করছে। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি সংস্কার না করায় দ্রুতগামি ট্রেন গুলো অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে।

ঘোড়াশাল ভাগদী এলাকার সাব্বির হোসেন নামে এক ট্রেনযাত্রী জানান, ঘোড়াশাল রেল সেতুর এমন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার মধ্যদিয়েই ট্রেন চড়ে ঢাকায় যেতে হচ্ছে। এখানে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে এমন বেহাল অবস্থা থাকলেও কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকার প্রদক্ষেপ নিচ্ছে না। সেতুর ঝুকিপূর্ণ অবস্থার জন্য প্রায় সময়ই ট্রেন যাত্রীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করে। তাই দুর্ঘটনা ঘটার আগেই সেতুর ওপর রেলপথ আটকানোর নতুন স্লীপারে ও লোহার নাট লাগানোর জন্য রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে ঘোড়াশাল রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার ইয়াসিন মিয়া বলেন, ব্রীজে নাট নেই এবং ব্রীজটি ঝুঁকির মধ্যে এ ধরনের কোনো কিছু আমার জানা নেই। রেল লাইনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বরত মিস্ত্রী নজরুল ইসলাম জানান, ব্রীজের রেল স্লীপারে নাটের বদলি কাঠ দেওয়াতে ট্রেন চলাচলে কোনো সমস্যা হয় না। 

একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages