ওমানে চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি যুবকের অাত্মহত্যা - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

ক্লিক করুন

Breaking News

Home Top Ad

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Tuesday, 7 January 2020

ওমানে চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি যুবকের অাত্মহত্যা


মোঃ জিপন উদ্দিন, চট্টগ্রাম:>>>
মাত্র দেড় বছর অাগে ভাই এর হাত ধরে কর্মের তাগিদে ওমানে গিয়েছিলেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির যুবক সাব্বির (২২)। ওখানে কখনো হার্ডওয়ার এর দোকান, অাবার কখনো মাংসের দোকানে চাকরি করতেন সাব্বিএ। বড় ভাই অার বাবাও থাকতেন তার থেকে কয়েক মাইল দূরত্বে। তবে, নিজের ভাই এর মাংসের দোকানে ভিসা ট্রান্সপার করার প্রক্রিয়া চলছিল।
কিন্তু হঠাৎ নিজেই ঘুমানোর ঘরে ফাঁসিতে ঝুলে পরপারে ট্রান্সপার হয়ে গেলেন সাব্বির। অাত্মহত্যার কারণ উদঘাটন করতে তার কর্মস্থল মাসকেটের অামিরাতে ফোনকলে কথা হয় তার সহকর্মী ও ঘনিষ্ট বন্ধু ফারুকের সাথে। ফারুক জানান, সোমবার যথারীতি হার্ডওয়ার দোকানে ডিউটি করছিল সে । দোকান থেকে সন্ধ্যার একটু অাগে বের হয়ে বাড়িতে ফোন করতে দেখি। তার মায়ের সাথে ভিডিও কল দিয়ে কথা বলে মুখ গম্ভীর হয়ে অামার কাছে রুমের চাবি চায়। বলল, বার্থরুমে যাবো, চাবিটা দাও।একটু পরেই অপর এক রুমমেট রুমে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়।
রুমে প্রথমে তার লাশ দেখতে পাওয়া গিয়াস উদ্দিন ফোনে বলেন, ' ছেলেটি অামার দোকানে চাকরি করতো। কথাবার্তায় বেশ মজা করতো, মিশুক টাইপের ছেলে ছিল । মাগরিবের নামাজ পড়তে অামি দোকান থেকে বাসায় গেছি, দরজা লক করা ছিল না। ডুকতেই ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পায়। পরে তার ভাই ও বাবাকে বিষয়টি জানায়।
পুলিশ এসে সুরতহাল তৈরী করে লাশ মর্গে নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। 
নিহত সাব্বিরের ভাই সাকিল ফোন কলের মাধ্যমে বলেন, ' মৃত্যুর একটু অাগেও অামাকে ফোন করে ভিসা ট্রান্সপারের ব্যাপারে কথা বলেছিল সাব্বির। অামি বলেছি, অারো এক মাস সময় লাগবে। সে বলেছিল, তাকে ট্রান্সপার না করে ভিসাটা দিয়ে অামার অপর এক ভাইকে দেশ থেকে অানতে। 
রহস্যেঘেরা অাত্মহত্যার কি কারণ?
যে ছেলে সকালেও হাসিখুশিতে দোকানে এসে ডিউটি করেছেন, সন্ধ্যায় অাত্মহত্যা করলেন! এর নেপথ্য কি তা বের করা সম্ভব হয়নি। তার ভাইও কোন সঠিক অনুমান করতে পারছেন না। তার ঘনিষ্ট বন্ধু, সহকর্মী ফারুক জানান, প্রেমঘটিত কোন ব্যাপারও নয়, এ ধরণের হলে সে অন্তত অামার সাথে শেয়ার করতো। তবে, সে একাধিক মেয়ের সাথে ফোনালাপ করতো তা জানতাম।' তার ফেইসবুক ওয়ালেও কোন ধরণের ইঙ্গিত পাওয়া যায় নি।
এদিকে, নিহত সাব্বিরের মা ছেলের অাত্মহত্যার খবর শুনে দুইবার স্ট্রোক করে এখন হাসপাতালে।
বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা যায়, লাশ দেশে পাঠানোর কাগজপত্র তৈরী হয়ে গেছে, বুধবার(৮ জানুয়ারি) লাশ দেশে আসতে পারে।
উল্লেখ্য, সাব্বির ফটিকছড়ি পৌরসভা ১নং ওয়ার্ড বিবিরহাট বাজার সংলগ্ন কামরাঙ্গা পাড়ার জাহাঙ্গীরের ছেলে।





একশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages