সুনামগঞ্জে মৃত যুবকের লাশ বহন করলো বাবা-ভাই - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

ক্লিক করুন

Breaking News

Home Top Ad

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Friday, 10 April 2020

সুনামগঞ্জে মৃত যুবকের লাশ বহন করলো বাবা-ভাই




একুশে মিডিয়া, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বখতারপুর গ্রামে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যাওয়া ইটভাটা শ্রমিকের লাশ বহনের জন্য গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে খাটিয়া না দেওয়ার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে তাদের এমন অমানবিক আচরণে বিস্ময়, ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে খাটিয়া ছাড়া ওই শ্রমিকের লাশ কাঁধে করে কবরে নিয়ে যাচ্ছেন তিন ব্যক্তি।স্থানীয়রা জানান, তারা হলেন মৃতের বাবা ও দুই ভাই।
মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে প্রায় ১০ দিন জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভোগার পর নিজ বাড়িতে মৃত্যু হয় তার। বুধবার সকালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য মৃতের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। দুপুরে গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে। জানা যায়, ওই যুবক নরসিংদীর একটি ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
সূত্র জানায়, করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ওই যুবকের লাশ বহনের জন্য গ্রামবাসীর কাছে পরিবারের পক্ষ থেকে খাটিয়া চাইলে ‘সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে’ খাটিয়া অস্বীকৃতি জানানো হয়। নিরুপায় হয়ে স্বজনরা খাটিয়া ছাড়াই লাশ কাঁধে করে কবরে নিয়ে দাফন করেন।
এদিকে ছবি ভাইরালের এলাকাজুড়ে সচেতন মহলের মধ্য প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে এর দায় নিয়েও। অনেকে বলছেন গ্রামবাসী খাটিয়া না দিয়ে অমানবিক ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। অধিকন্তু সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তা (পিপিই সুরক্ষা প্রাপ্ত ডাক্তার/স্বাস্থ্য কর্মী) ব্যতিত কেউ লাশ স্পর্শ করারও কথা নয়। তবে প্রশাসনের উপস্থিতিতে কীভাবেই বা এমন হৃদয় বিদারক ঘটনার অবতারণা হলো তা বোধগম্য নয়।
দোয়ারাবাজার উপজেলা কর্মকর্তা ডা: দোলোয়ার হোসেন সুমন স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন, এখনো মৃত ব্যক্তির রিপোর্ট আসেনি এবং তিনি বলেছেন তা বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। খাটিয়া দেয়া না দেয়া কিংবা লাশ তিন ভাই বহনের বিষয়টি তার জানা নেই।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. শামস উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন, দোয়ারাবাজারে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মৃত যুবকের নমুনা পরীক্ষার জন্য বুধবার সিলেট পাঠানো হয়েছে।


একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages