গাইবান্ধার ৫টি আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন নিয়ে জল্পনা কল্পনায় যারা।একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Sunday 18 November 2018

গাইবান্ধার ৫টি আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন নিয়ে জল্পনা কল্পনায় যারা।একুশে মিডিয়া


মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধায় বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সমর্থক নেতাকর্মীদের মধ্যে এখন উদ্বেগ উৎকণ্ঠা। তাদের সমর্থক নেতারা দলীয় মনোনয়ন পাবেন কি? শহর-বন্দর গ্রাম সর্বত্র ও এ আলোচনা চলছে। এরমধ্যে অনেক সমর্থকই তাদের নেতার মনোনয়ন নিশ্চিত হয়েছে বলে মাঠে প্রচারণাও চালাচ্ছে। পর্যবেক্ষকদের ধারনা সমর্থকদের মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখার লক্ষ্যেই এসব প্রচারণা চালানো হচ্ছে। দলীয়ভাবে এখনো কোনো মনোনয়ন তালিকা চুড়ান্ত না হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা জল্পনা কল্পনা।
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে তিনি মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে নিশ্চিত থাকবেন বলে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির একজন প্রভাবশালী নেতা জানান। তিনি জানান, দলীয় চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ দলের ১০০ জনের যে তালিকা আওয়ামীলীগকে দিয়েছে তার মধ্যে শামীম হায়দার পাটোয়ারীর নাম উল্লেখযোগ্যভাবে রয়েছে। এ আসনে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে ৫ জন দলীয় মনোনয়নপত্র গ্রহণ করলেও তাদের মধ্যে রয়েছে অনিশ্চয়তা। কারণ এ আসনে বর্তমানে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য থাকায় আসন ভাগা ভাগির ক্ষেত্রে তা প্রাধান্য পাবে বিবেচনায়।
গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এবারও আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাবেন বলে তার সমর্থক নেতাকর্মীদের বিশ্বাস। পর পর দু’বার তিনি নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এলাকার উন্নয়নেও তার যথেষ্ট অবদান রয়েছে। এ আসনে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামস-উল আলম হিরু ও সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিকসহ ৮ জন দলীয় মনোনয়নপত্র গ্রহণ এবং দাখিল করেন। তবে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি থেকে এ আসনটি দাবী করা হয়েছে। এ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী জাতীয় পার্টি দু’বারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রশিদ সরকার। আসন ভাগা ভাগিতে এ আসনটি কে পাবেন তা কেউই নিশ্চিত করে বলতে পাচ্ছে না।
গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ি) আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য সাদুল্যাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ডাঃ ইউনুস আলী সরকার। তার সমর্থকরা ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন তার মনোনয়ন নিশ্চিত হয়েছে। তবে এই আসনটি জাতীয় পার্টি থেকে দাবি করা হচ্ছে। কারণ এ আসনটি বরাবরই জাতীয় পার্টির ছিলো। শুধু দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দখলে যায় এ আসন। এ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়নপত্র নিয়েছেন ২১ জন। 
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এ আসনটিতে তার স্নেহভাজন ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পীকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার বিষয়টি বিভিন্ন সময় ঘোষণা দিয়েছেন। তার দলের নেতাকর্মীদের দৃঢ় বিশ্বাস মহাজোটের শরিক হিসেবে এ আসনটি জাতীয় পার্টিরই হবে।
গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোট পেয়ে আওয়ামীলীগ মনোনীত সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মনোয়ার হোসেন চৌধুরীকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন। পরে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি। তিনি এ আসনে এবারেও মনোনয়ন পাবেন বলে তার সমর্থক দলীয় নেতাকর্মীরা প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত একটি মহল। তাদের দাবী ইঞ্জিনিয়ার মনোয়ার হোসেন একজন ক্লিন মানুষ হিসেবে মনোনয়ন পেলে দল আসনটি ধরে রাখতে পারবে। এ আসনে ৯ জন প্রার্থী দলীয় আওয়ামী লীগের মনোয়নপত্র গ্রহণ করেছেন।
গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে আওয়ামীলীগের দুই প্রার্থীর মধ্যে কে দলীয় মনোনয়ন পাবেন তা নিয়ে সর্বত্র আলোচনা চলছে। এ আসনে বর্তমান জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া একজন হেভিওয়েট প্রার্থী। সে হিসেবে তিনি মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে দলে অগ্রাধিকার পাবেন বলে প্রচারণা চালাচ্ছেন তার সমর্থক নেতাকর্মীরা। তবে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন এ আসনে মনোনয়ন পেতে দীর্ঘদিন থেকে সাংগঠনিক এবং জনসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। তার সমর্থক নেতাকর্মীদের বক্তব্য- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার তরুণ নেতৃত্বকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। সেক্ষেত্রে মাহমুদ হাসান রিপনের বিকল্প নেই। রিপনই এবার দলীয় মনোনয়নের গ্রীণ সিগন্যাল পেয়েছেন বলে তার সমর্থকরা প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বি মিয়া দলীয় মনোনয়নের নিশ্চয়তা পেয়েছেন বলে তার সমর্থকরাও প্রচার করছে।
গাইবান্ধার ৫টি আসনে এবারে কে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন সে সম্পর্কে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিককে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, কোন আসন থেকে কে দলীয় মনোনয়ন পাবেন তা একমাত্র দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই সিদ্ধান্ত দেবেন। কাজেই যারা তাদের সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা গুজবের উপর নির্ভর করেই তা করছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।


একুশে মিডিয়া/এমএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages