একুশে মিডিয়া, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার পৌরশহরের হরিণমারী গ্রামে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের আগুনে ঝুট-তুলার কারখানা ও গুদাম ভস্মিভূত হয়ে ৫ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।
গাইবান্ধা সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের একটি টীম যথাসময় ঘটনাস্থলে আগুন নিভালেও তুলার কারণে নিমিষেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে জ্বলন্ত আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে না পড়ার কারণে আশে-পাশের বেশ কয়েকটি তিনতলা স্থাপনাসহ বসতবাড়ী সমূহ সম্ভাব্য আগুনের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সূত্র জানাযায় , পৌরশহরের ওইস্থানে রশিদুন্নবী চাঁন মিয়ার একটি গুদাম প্রায় ৬ মাস আগে ভাড়া নিয়ে বাড়াইপাড়া গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে মতিয়ার রহমান ঝুট এবং তুলার কারখানা গড়ে তোলে।
বৃহস্পতিবার ৫ মার্চ বিকেল ৫টার দিকে কারখানা চলাকালে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে বিদ্যুৎ সঞ্চালন তার বেয়ে জ্বলন্ত আগুনের লেলিহান শিখা গুদামের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এতে গুদামে রাখা ঝুঁট-তুলা মুহুর্ত্বেই পুড়ে ভস্মিভূত হয়।
প্রথমতঃ স্থানীয়রা এবং খবর পেয়ে গাইবান্ধা জেলা সদর থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। জীবন-জীবিকা নির্বাহে একমাত্র আয়ের উৎস কারখানার মূল্যবান ঝুট এবং তুলা ভস্মিভূত হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি পথে বসার উপক্রম হয়ে পড়েছে। পরিবারের ছেলে মতিয়ার সম্প্রতি কৃষি জমি বিক্রয়সহ এনজিও’র নিকট ঋণ নিয়ে ওই ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন।
সরকারি-বেসরকারি সাহায্য-সহযোগিতা পেতে পরিবারটি উপজেলা ও জেলা প্রশাসনসহ দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের ছাড়াও দানশীল-পরোপকারী ও আন্তরিক ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও জন-প্রতিনিধিদের নিকট মানবিক হস্তক্ষেপ
কামনা করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেজবাউল হোসেন ও থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান মাসুদ, স্থানীয় পর্যায় বিভিন্ন দলীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় পরিদর্শনকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সম্ভাব্য সহায়তাদানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment