বিদ্যা চর্চার কেন্দ্র ভূমি "বাণীগ্রাম": কে.এম সালাহ্উদ্দীন কামাল - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Saturday 13 June 2020

বিদ্যা চর্চার কেন্দ্র ভূমি "বাণীগ্রাম": কে.এম সালাহ্উদ্দীন কামাল

একুশে মিডিয়া, রিপোর্ট: সোশ্যাল মিডিয়া খেকে সংগৃহীত:
লেখক-কে.এম সালাহ্উদ্দীন কামাল:
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ১৮৮১ সালে প্রথম প্রতিষ্ঠিত প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘বাণীগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। ১৯৮৬ সালে ১ম শ্রেণিতে ভর্ত্তির পর শৈশব- কৈশোরের সোনালী দিনগুলো কেটেছে এ স্কুলের আঙ্গিনায়। বাড়ীর পাশে ছিল রাতা খোর্দ্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
গ্রামের-পাড়ার সমবয়সীরা ঐ স্কুলে ভর্ত্তি হয়েছে। কিন্তু বাড়ী থেকে ২.৫ কি.মি দূরে অবস্থিত বাণীগ্রাম প্রাইমারি স্কুলে কাটানো দুরন্তপনা, বনে-বনান্তে, প্রকৃতিতে ছুটোছুটি আজও স্মৃতিপটে অম্লান। আমার পিতা বলতেন- বিদ্যা চর্চার কেন্দ্রভূমি "বাণীগ্রাম"।
বাঁশখালীর ১ম প্রাথমিক-মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ডাকঘর, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র বাণীগ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষা, ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে দক্ষিণ চট্টগ্রামে প্রাচীনকাল থেকেই অগ্রসর জনপদ "বাণীগ্রাম"। কখনো পায়ে হেঁটে, কাদা-জল মাড়িয়ে আবার কখনো বাবার সাথে রিক্সাযোগে ভাই-বোন সবারই প্রাথমিক শিক্ষার হাতেখড়ি বাণীগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। 
বিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:
প্রতিষ্ঠাতা: বাণীগ্রাম রায় পরিবার। ১৮৮১ সালে রায় পরিবারের আঙ্গিনায় দশভূজা মন্দিরের উত্তর পার্শ্বে এ বিদ্যালয় স্হাপিত হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭২ সালে পাকা ভবন নির্মাণে নিদিষ্ট পরিমান ভূমির প্রয়োজন পড়ে। তৎ সময়ে বাণীগ্রাম সাধনপুর উচ্চ বিদ্যালয় কতৃপক্ষ ১ একর ভূমি বাণীগ্রাম সরকারি প্রা.বিদ্যালয়ের নামে দান করলে বর্তমান স্হানে বিদ্যালয় ভবন নির্মিত হয়ে রায় পরিবারের আঙ্গিনা থেকে স্হানান্তরিত হয়। বর্তমান শিক্ষকমন্ডলী- ১৪ জন। দপ্তরী- ১ জন।
ছাত্র-ছাত্রী- ৬৯৫ জন। এ বছর প্রাথমিক বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী- ১০ জন। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডেও এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে শিরোপা অর্জন করেছে।
প্রাক্তন সভাপতিবৃন্দ:
১। সুশীল চন্দ্র রায় (পেলু বাবু)- ১৯৬৬-৮০।
২। এম. হাবিব উল্লাহ্ চৌধুরী- ১৯৮০-৮৬।
৩। মু. নাদেরুজ্জামান চৌধুরী- ১৯৮৭-৯০।
৪। খোন্দকার মো. ছমিউদ্দীন- ১৯৯১-৯৪।
৫। জয় প্রকাশ মিত্র চৌধুরী- ১৯৯৫-৯৭।
৬। খোন্দকার মো. ছমিউদ্দীন- ১৯৯৮-২০০৩।
৭। প্রফেসর হিমাংশু বিমল ভট্টাচার্য্য- ২০০৩-১৭।
৮। প্রদীপ মিত্র চৌধুরী- ২০১৭- অদ্যাবধি।
৯। ২০১৭ সাল থেকে চলমান লেখক নিজে।
প্রাক্তন প্রধানশিক্ষকবৃন্দ:
১. হর মোহন চৌধুরী, ঈদগাঁ।
২. উপেন্দ্র লাল দে, সাধনপুর।
৩. হরি মোহন দে, সাধনপুর।
৪. সুধাংশু দাশ, সাধনপুর।
৫. নীহার রঞ্জন ভট্টাচার্য্য,১৯৬৬-৮৪, বাণীগ্রাম।
৬. শান্তিপদ দাশ, ১৯৮৪-২০০৬, দ. বরুমচড়া।
৭. দোস্ত মো. ফারুকী (ভারপ্রাপ্ত), সাধনপুর।
৮. শ্রীধর কান্তি গুহ, ২০০৬-২০১৩, কোকদন্ডী।
৯. রাজলক্ষ্মী চৌধুরী (ভারপ্রাপ্ত), বাণীগ্রাম।
১০. সুমন দে, ২৯.৩.২০১৩- অদ্যাবধি, সাধনপুর।
শতবর্ষ উদযাপন ও সৌরভ প্রকাশনা:
২৮ মার্চ ১৯৮৭, ১৩ চৈত্র ১৩৯৩ বাংলা বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উৎসব সম্পন্ন হয়েছে। ম্যাগাজিন "সৌরভ" সম্পাদনা করেছেন- প্রাক্তন কৃতি ছাত্র শ্রী যোগেশ্বর চৌধুরী। প্রচ্ছদ অলঙ্করণে: প্রণব মিত্র চৌধুরী। প্রকাশনা সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন: প্রদ্যুৎ মিত্র চৌধুরী ও জয়প্রকাশ মিত্র চৌধুরী।
শতবর্ষ অনু্ষ্ঠানে অতিথি ছিলেন- তৎকালীন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা শিক্ষা অফিসার-সহ বিভিন্ন ব্যাক্তিবর্গ।
প্রাচীন এ বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটিতে "সদস্য" হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।
ঐতিহ্য এবং গৌরবের ধ্বজা উড়িয়ে আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যাক সহস্রাব্দের দিকে। তথ্য সূত্র এবং কৃতজ্ঞতা: শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক প্রদ্যুৎ মিত্র চৌধুরী, এসএমসি সভাপতি- প্রদীপ মিত্র চৌধুরী।




একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages