ছবি : প্রতীকী
একুশে মিডিয়া, ভিন্ন দেশের ভিন্ন রিপোর্ট:
ভিশন চিন্তায় মাথায় হাত সত্তরোর্ধ্ব শীলা দেবীর। কারণ কোনো ভাবেই নিজের ছেলের বিবাহ দিতে পারছিলেন না তিনি। জানা-অজানা নানা কারণে চল্লিশোর্ধ্ব পঙ্কজ কুমার ওরফে পিন্টুর বিয়ে হচ্ছিল না।
অনেক কাঠখোর পুড়িয়ে অবশেষে এক আত্মীয়র মধ্যস্থতায় বিয়ে হয় পিন্টুর। এদিকে, বৌমা ঘরে এসে ছেলের সংসার সুখের করে তুলবে, এই স্বপ্নে বিভোর ছিলেন শীলাদেবী। কিন্তু, তার বৌমা বিয়ের রাতেই সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। ওইদিনই সোনা-গহনা-টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে নববধূ সঙ্গীতা। এ ঘটনায় মা-ছেলের ‘স্বপ্ন’ ভেঙে খানখান করে দিয়েছে সে।
জানা গেছে, নববধূ সঙ্গীতার বাবা-মা নেই। সে তার এক আত্মীয়র কাছে মানুষ হয়েছে। সঙ্গীতার বয়স ২০ বছর। শীলাদেবী ছেলে পিন্টুর (৪০ বছর) বিয়ের জন্য মেয়ে খুঁজে পাচ্ছেন না দেখে এক আত্মীয় রিঙ্কু প্রসাদ ও তার স্ত্রী সুনীতা দেবী সঙ্গীতার খোঁজ দেন তাকে। এরপর পিন্টু ও সঙ্গীতার বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়।
গত সোমবার ভারতের বিহারের ভাবুয়ার মন্দিরে বিয়ে হয় পিন্টু ও সঙ্গীতার। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ওইদিন বিকেল ৫ টায় সবাই বাড়ি ফিরে আসেন। বাড়িতে রাতে শোয়ার ব্যবস্থা করার সময় পিন্টুর সঙ্গে এক ঘরে শুতে অস্বীকৃতি জানায়- নববধূ সঙ্গীতা।
সঙ্গীতা জানান, মাসিক (ঋতুচক্র) চলছে। ফলে নববধূর সঙ্গীতার জন্য আলাদা করে অন্য ঘরে শোয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে শীলা দেবী দেখেন নববধূ পালিয়ে গেছে। পালানোর সময় সঙ্গে নিয়ে গেছেন সমস্ত সোনা-গহনা ও নগদ ২০ হাজার টাকা। সঙ্গীতার কোনো খোঁজ না পাওয়ায়, সঙ্গে সঙ্গে সেই দোষ গিয়ে পড়ে বিয়ের মধ্যস্থতাকারী বা ঘটকালি করা আত্মীয় রিঙ্কু ও তার স্ত্রীর উপরে। বরের পক্ষের অভিযোগ, ষড়যন্ত্র করে এই বিয়ে দেয়া হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত এ ঘটনায় গ্রামে পঞ্চায়েত বসে। সেখানে রিঙ্কু ও তার স্ত্রী সুনীতাকে ডেকে পাঠানো হয়। তবে তারা দোষ অস্বীকার করেন।
পরে ভাবুয়া পুলিশ স্টেশনে এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। তবে নববধূ সঙ্গীতার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। সে সোনা-গহনা-নগদ টাকা নিয়ে লাপাত্তা।
এদিকে, গ্রামে বসে হা-হুতাশ করে চলেছেন সত্তরোর্ধ্ব শীলাদেবী। ছেলের ভাগ্য ফেরাতে বিয়ে দিয়ে নিজেদের ভাগ্যই খুঁড়ে ফেলেছেন বলে অভিমান ঝরে পড়ছে তার কণ্ঠে। একুশে মিডিয়া।”
No comments:
Post a Comment