একুশে মিডিয়া, লাইফ রিপোর্ট:
প্রাথমিক ভাবে এইসব ফেয়ারনেস ক্রিম ব্যবহারের ফলে সাময়িক ভাবে ত্বকের রং কিছুটা ফর্সা হলেও দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহার করলে ত্বকের ক্ষতি মোটামুটি নিশ্চিত। ত্বকের জন্য ক্ষতিকর এই সকল রং ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহারকারীরা ভাবতে পারেন এই ক্রিম ব্যবহারের ফলে তাদের ত্বকের রঙে পরিবর্তন এসেছে। আগের চেয়ে একটু ফরসা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এর বিনিময়ে কতটুকু মূল্য দিয়ে যাচ্ছেন, সেটা জানা আছে? সকলের জানা দরকার যে রঙ ফরসাকারী ক্রিম সবার জন্যই ক্ষতিকর।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রায় সব ফর্সা হওয়ার ক্রিমেই মেশানো থাকে পারা। যার থেকে ত্বকের অ্যালার্জি, র্যাশ এমনকি ক্যানসারও হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, অধিকাংশ রঙ ফরসাকারী পণ্যে মারকিউরাস ক্লোরাইডের মতো অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস ব্যবহার করা হয়, যা ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। মারকিউরাস ক্লোরাইড মূলত ব্লিচের কাজ করে, আর এটাই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এ ধরনের ক্রিম নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক পাতলা হয়ে যায় ও টানটান ভাব হারায়। এতে ব্রণও সৃষ্টি হয়। এছাড়াও ফেয়ারনেস ক্রিম ত্বককে ফটোসেনসেটিভ বা আলোক সংবেদনশীল করে তোলে। তাই এ ধরনের ত্বকে সূর্যের রশ্মি তুলনামূলক বেশি প্রভাব ফেলে এবং গুটি ও খুজলি তৈরি হয়। এছাড়া অনেক সংবেদনশীল ত্বকে অয়েল প্যাক, ফেশিয়াল কিংবা ম্যাসাজ করলেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
জাপান ও ইউরোপে বর্তমানে বেশ কিছু কার্যকরী ক্রিম পাওয়া যাচ্ছে, তবে এগুলোকে আসলে ক্রিম না বললে উচ্চমূল্যের ওষুধ বলাই ভালো, যা মেলানিনকে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই প্রভাবিত করতে পারে। অবশ্য এসব ব্যবহারের আগে ডাক্তারের যথাযথ নির্দেশনা প্রয়োজন। বর্তমানে মেয়েদের পাশা পাশি রুষদের ফেয়ারনেস নিয়েও বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছে কোম্পানিগুলো। কিন্তু মনে রাখা ভালো, পুরুষ ও নারীর ত্বকে খুব বেশি পার্থক্য নেই। উল্টো ছেলেদের ফেয়ারনেস ক্রিমে অধিক পরিমাণে ব্লিচ ব্যবহার করার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ব্রণ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একুশে মিডিয়া।””
No comments:
Post a Comment