একুশে মিডিয়া:
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণ করেছে পাঙ্গসী ইউনিয়নের ওয়ার্ড কৃষকলীগের সভাপতি আনিসুল ইসলাম তালুকদারকে (৫৫)। এ ঘটনায় সালিশে ওই কৃষকলীগ নেতাকে জুতাপেটা ও চড় থাপ্পর দিয়ে মীমাংসা করে দিয়েছেন স্থানীয় মাতবররা।
শনিবার রাতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, মাতববর সাইফুল ইসলাম তালুকদার, গণি তালুকদার, আমিনুল ইসলাম, আলিম ও শাহিনের নেতৃত্বে গোপন সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ ব্যাপারে ধর্ষণের শিকার শিশুটির মা জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে তার মেয়ে বাড়ির পাশে খেলা করছিল। আশপাশে লোকজন না থাকায় ওয়ার্ড কৃষকলীগের সভাপতি আনিসুল ইসলাম তালুকদার কৌশলে তার মেয়েকে নিজ বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই সময় মেয়েটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলে আনিসুল পালিয়ে যায়। অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে শিশুটিকে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
এ ঘটনার পর স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন মাতবর উপযুক্ত বিচারের আশ্বাস দিয়ে এ ব্যাপারে মুখ খুলতে ও আইনের আশ্রয় নিতে শিশুটির মাকে নিষেধ করে। কিন্তু ঘটনার পর চারদিন অতিবাহিত হলেও বিচার করতে তালবাহানা করে মাতবররা।
অবশেষে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা বিষয়টি জেনে গেলে শনিবার রাতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, মাতববর সাইফুল ইসলাম তালুকদার, গণি তালুকদার, আমিনুল ইসলাম, আলিম ও শাহিনের নেতৃত্বে গোপন সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই সালিশ বৈঠকে আত্মস্বীকৃত ধর্ষণকারী আনিসুল ইসলামকে নামমাত্র জুতাপেটা ও চড় থাপ্পরের দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়া হয়।
শিশুটির মা আরও বলেন, আমরা গরিব অসহায় মানুষ। তাই সঠিক বিচার পাইনি। ইচ্ছে ছিল লম্পটকে জেলের ভাত খাওয়াবো। কিন্তু মাতবরদের জন্য পারলাম না।
এ ব্যাপারে আনিসুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করে জানায়, পাঙ্গসী ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। বৈঠকে তিনি ধর্ষণের শিকার শিশুটির পরিবারের কাছে মাফ চেয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।
পাঙ্গসী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সালামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান।
রায়গঞ্জ থানার ওসি পঞ্চনন্দন সরকার বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগও করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। একুশে মিডিয়া।
No comments:
Post a Comment