পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে একটি নির্বাচনী সমাবেশে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে এক প্রার্থীসহ ১২৮ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে মাসটাং জেলায় এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে আহত হয়েছেন আরো দুই শতাধিক ব্যক্তি।
বেলুচিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগা ওমর বাঙ্গুলজাঈ ডননিউজ টিভিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তাকফিরি সন্ত্রাসীগোষ্ঠী দায়েশ বা আইএস এই হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে জঙ্গি সংগঠনটির ওয়েবসাইট আমাক নিউজ জানিয়েছে।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বেলুচিস্তানের মাসটাং জেলায় শুক্রবার সন্ধ্যায় বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির (বিএপি) নির্বাচনী প্রচারণায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিস্ফোরণে বিএপি নেতা ও প্রাদেশিক আসন পিবি-৩৫ এ’র প্রার্থী নওয়াবজাদা সিরাজ রাইসানি নিহত হয়েছেন। নিহত সিরাজ বেলুচিস্তানের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী নওয়াব আসলাম রাইসানির ছোট ভাই। ২০১১ সালে এই মাসটাং জেলাতেই গাড়িতে গ্রেনেড হামলায় সিরাজ রাইসানির কিশোর ছেলে নিহত হয়। ওই গ্রেনেড হামলার সিরাজ নিজেও গাড়ির ভেতরে ছিলেন। কিন্তু ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান।
প্রাদেশিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফয়েজ কাকর জানান, বিস্ফোরণে আহতদের কোয়েটা সিভিল হাসপাতাল, বোলান মেডিকেল কমপ্লেক্সে ও কোয়েটা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বেলুচিস্তানের সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক আসলাম তারিন এই হামলাকে আত্মঘাতী বলেছেন। তিনি জানান, আট থেকে ১০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরকসহ বিয়ারিং বল ব্যবহার করা হয়েছে এই হামলায়।
এর আগে আজ (শুক্রবার) সকালে খাইবার পাখতুনখাওয়ায় প্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী আকরাম খান দুরানির গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ থাকলেও সেই হামলায় চারজন নিহত ও ৩২ জন আহত হয়েছেন।
আগামী ২৫ জুলাই পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনী সংঘাত বেড়েই চলেছে। এর আগে গত ১০ জুলাই পেশোয়ারে আরেকটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির (এএনপি) নেতা হারুন বিলোরসহ আরো ১৯ জন নিহত হন। পরে এই হামলার দায় স্বীকার করে তাহরিক-ই-তালিবান (টিটিপি)।একুশে মিডিয়া।
No comments:
Post a Comment