ছবি: প্রতীকী
একুশে মিডিয়া, রাজবাড়ী রিপোর্ট:
বাড়ির পাশাপাশি বাড়ির কারণে পরিচয়, প্রেম-ভালোবাসা। বাড়ির সবার অজান্তে সুখের আশায় শুভ পরিণয়। এরই মধ্যে একটি কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ার পরই শুরু হয় বিপত্তি। যৌতুকের দাবিতে শুরু হয় প্রতিনিয়তই নির্যাতন। দিনদিন নির্যাতনের মাত্রা ছাড়িয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে যৌতুকের জন্য সারা শরীরে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে পাষণ্ড স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের দিলালপুর গ্রামে। স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এক সন্তানের জননী আসমা বেগম (২৫)।
বালিয়াকান্দি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আসমা বেগম জানান, ১১ বছর পুর্বে প্রেম-ভালোবাসা করে নবাবপুর ইউনিয়নের দিলালপুর গ্রামের জহুরুল শেখের সাথে পরিবারের অসম্মতিতে বিয়ে করে। পরে পারিবারিক ভাবে মিমাংসা হয়। তাদের একটি ১০ বছর বয়সী মেয়ে রয়েছে। সে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আসছিল।
মঙ্গলবার বিকালে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। টাকা এনে দিতে অস্বীকৃতি জানালে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ঠেকাতে গেলেও তাদের উপর গালিগালাজ করে। পরে তারা চলে গেলে তাকে ইচ্ছামত পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। মারাত্বক অসুস্থ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে ভর্তি করে।
আসমার বাবা আঃ রহিম শেখ জানান, তাদের অসম্মতিতে বিয়ে হয়। মেয়ের অন্যায় মেনে নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আসছিল। দিনদিন নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেছে। মঙ্গলবার যৌতুকের জন্য শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একুশে মিডিয়া।”
No comments:
Post a Comment