একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন প্রতিটি ইউনিট,ওয়ার্ড বা থানা কমিটির নেতৃবৃন্দকে পারষ্পরিক দূরত্ব নিরসনের জন্য আন্তরিক আহবান জানিয়েছেন। তিনি নেতাদেরকে পরষ্পরের প্রতি বিষোদগার পরিহার করে সমন্বয়ের মন্ত্রে দিক্ষীত হয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। আগামী নির্বাচনে যাতে পারষ্পরিক দ্ব›দ্ব সংঘাত দলের বিজয়ে কোন রূপ প্রভাব বিস্তার না করে সে ব্যাপারে তিনি এখন থেকেই তৃণমূল নেতৃকর্মীদেরকে সতর্ক অবস্থানে যেতে অনুরোধ জানান।
আজ বিকালে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এক বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। বর্ধিত সভায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যে তিনি উপস্থিত নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মহানগর নেতৃবৃন্দের মধ্যে ব্যক্তি মত পার্থক্য,সংকীর্ণতা এবং চিন্তার ভিন্নতা থাকলেও সময়ের প্রয়োজনে আমরা দূরত্ব শতভাগ নিরসন করে ফেলেছি। আমরা চাই তৃণমূল নেতৃবৃন্দের মধ্যেও কোন ধরণের পারষ্পরিক দূরত্ব থাকবে না। এ দূরত্ব আগামী নির্বাচনের অশনি সংকেত হয়ে দাঁড়াবে। তাই আপনাদের মধ্যে সকল ভেদাভেদ,ব্যক্তি স্বার্থ এবং সংকীর্ণতা পরিহার করে দূরত্ব মিটিয়ে ফেলুন।
এ প্রসঙ্গে তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, ফেইস বুকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা একজনের বিরুদ্ধে আরেকজন বিষোদগার করছে। আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লিখছে। একজনের বিরুদ্ধে অন্যজন এমন অযাচিত স্ট্যাটাস পোস্ট দিচ্ছে যা ব্যক্তি ইমেজকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে তা নয়। সংগঠনের ভাবমূর্তিও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠছে। এতে করে ক্ষতি হচ্ছে দলের। ক্ষতি হচ্ছে সংগঠনের।
তিনি সংগঠনকে শক্তিশালী করার প্রসঙ্গে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে একেবারে ইউনিট থেকে সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করতে হবে। প্রতিটি ইউনিট,ওয়ার্ড,থানা পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরকে ভোটারদের দোরগোড়ায় গিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দেয়া হবে। মহানগর আওয়ামী লীগ ইতোপূর্বে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১০টি আহবায়ক কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিগুলোই ভোটার সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি মহানগরের অর্পিত নির্দেশনা পালন করবে। দ্রæততম সময়ের মধ্যে কেন্দ্র ও বুথ ভিত্তিক কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু হবে। গঠিত এসব কমিটি থেকে নির্বাচনী এজেন্ট তৈরি করা হবে। সেজন্য কেন্দ্র ও বুথ ভিত্তিক কমিটি গঠনের সময় নেতাকর্মীদেরকে অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে। বিতর্কিত বা বিদলীয় কেউ যাতে কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত হতে না পারে সে ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের শ্যেন দৃষ্টি রাখতে হবে।
তিনি ভোটার উদ্বুদ্ধকরণের বিষয়ে বলেন,আমাদেরকে ঘরের ভোট আগে নিশ্চিত করতে হবে। পরিবারের প্রতিটি সদস্যের কাছ এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা অর্জন করতে হবে। পাশাপাশি নেতৃবৃন্দের অনেকেই বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকার। তাদেরকে নিজেদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভোট নিশ্চিতে কাজ করতে হবে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত হবে।
সভায় মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি,সম্পাদক মন্ডলীসহ সকল ওয়ার্ড, থানা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। একুশে মিডিয়া।”।
No comments:
Post a Comment