![]() |
প্রতীকী ছবি। |
মোহাম্মদ ছৈয়দুল আলম, চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় গত মাসখানেক থেকেই বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের নামে সারাদিন থেকে শুরু অধ্য দিন বিদ্যুতের লোডশেডিং চরম আকার ধারন করছে।
মাইকিং নোটিশ ছাড়াই ডিজিটাল পদ্ধতিতে কিছু সংখ্যা গ্রাহকে মোবাইল এস.এম.এস পাঠানো পর দিন ব্যাপী থেকে শুরু করে ঘন্টা পর ঘন্টা লোডশেডিং চলছে বাঁশখালী উপজেলায়।
লোডশেডিংয়ের কারনে যেমন আর্থিকভাবে ক্ষতি হচ্ছে ব্যবসায়ীদের তেমনি চলতি বছরে অংশগ্রহনকারী জে.এস.সি পরীক্ষার্থীরাও পড়েছেন চরম বিপাকে।
স্থানীয় লোকজনসহ হাট-বাজারের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গত একমাস থেকে গত এক মাস ধরে বিদ্যুতের লোডশেডিং বেড়েই চলছে। বিদ্যুতের কোন লাইনে কাজ করতে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আগেরদিন এলাকা জুড়ে মাইকের মাধ্যমে প্রচারনার নিয়ম থাকলেও তারা মাইকিং করে না। এমনকি কোন লাইন মেরামতের নামেও বিদ্যুত বিভাগ ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুত বিহিন অবস্থায় রাখছেন উপজেলাবাসীকে।
বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার লোকজনরা একুশে মিডিয়াকে জানান, বাঁশখালী উপজেলায় বিদ্যুতের সমস্যা বিগত সময় থেকেই বেড়ে চলছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ঘরে ঘরে বিদ্যুতের লাইন প্রদানের কথা বলেও লোডশেডিং নিয়ে নেই মাথা ব্যাথা!
এখন শীতকাল অথছ এ শীতেই আমরা সর্বাধীক লোডশেডিংয়ের অত্যাচার অতীষ্ট। আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করছি, গরম না আসতেই বিদ্যুতের এ অত্যাচার তাহলে গরমকালে কি অবস্থা হতে পারে।
বাঁশখালী পৌর এলাকার ব্যবসায়ী গুরা মিয়া একুশে মিডিয়াকে বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিং এতই মারাত্মক আকার ধারন করেছে যে, মাঝে মধ্যে মোবাইলের নেটওয়ার্ক পর্যন্ত চলে যায়। কথা বলতে গিয়ে মোবাইল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে চার্জ না থাকার কারনে।
অপরদিকে অন্য ব্যবসায়ীদের অভিযোগ বিদ্যুত নেই তাতে কি, কিন্তু বিদ্যুতের বিল কিন্তু আরো দ্বিগুন আকার ধারন করছে। গ্রামের অবস্থা আরো ভয়াবহ। গ্রামে বিদ্যুত থাকেনা বললেই চলে।
গুনাগরী বাজারের আবদুল করিম নামের এক ব্যবসায়ী একুশে মিডিয়াকে জানান, এ ভুতুড়ে বিলের পিছনে অন্যতম কারন হচ্ছে ধরন ডিসেম্বরের ১ থেকে ত্রিশ তারিখে আমার মিটারে দেখা গেছে মিনিমান ইফনিট (নির্ধারিত)। কিন্তু তারা ডিসেম্বর মাসের বিল তৈরি করেন জানুয়ারীর ৬ তারিখে। তাহলে দেখা গেছে নির্ধারিত ইউনিটের চার্জ অতিরিক্ত ইউনিটের সাথে যোগ হওয়ায় তার বিল হচ্ছে দ্বিগুন। কারন নির্ধারিত ইউনিটের বিলের চেয়ে অতিরিক্ত ১০ ইউনিটের বিল তারাই কৌশলে তৈরি করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছেন ব্যবসায়ীদের।
বিভিন্ন চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষরা একুশে মিডিয়াকে জানান, আমরা জেনারেটরের তেল পুড়িয়ে চিকিৎসাসেবা প্রদানের কারনে আর্থিকভাবে বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।
ইকবাল কবির নামে এক জে.এস.সি পরীক্ষার্থী একুশে মিডিয়াকে জানান, পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে দেখছি সন্ধার পর পরই বিদ্যুত চলে যায়। আগে দিনে যেতো এখন রাতে বিদ্যুত থাকেনা বললেই চলে। অন্তত রাত ৮-১০টার পূর্বে বিদ্যুত আসা যাওয়ার মধ্যেই থাকে। আর যে সময়টা হচ্ছে মূলত পড়ার সময়।
No comments:
Post a Comment