![]() |
একুশে মিডিয়া, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে পবনাপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্যা আলেফার স্বামী সাবু মিয়া( ৫০), মৃতঃ শমসেরের ছেলে ফুল মিয়া ( ৩৫) মৃতঃ আকবর আলির ছেলে মজিবর (৪৫) সকলের গ্রাম পুর্বফরিদপুর।
এরা জ্বিনের বাদশা পরিচয়ে মোবাইলের মাধ্যমে একই গ্রামের শাহানাজ বেগম নামের এক নারীকে মনের আশা ও চাওয়া পাওয়া পুর্ণহবে বলে জ্বিন সেজে মিথ্যা প্রলোভনে দিয়ে গত ১২/১০/১৮ ইং তারিখে রাত্রি ১১,৩০ মিনিটে মহিলার বসত বাড়ীতে পশ্চিমপার্শ্বে বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে গিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে হাত দিয়ে সংসারে শান্তি আসিবে মর্মে জ্বিনের বীর্যদিয়া ভালোভাবে তাবিজ করিয়া দিবে বলে মাটিতে শোওয়াইয়া ৩ জন মিলে উপযুপরি গণধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে গত ১৪/১০/১৮ ইং তারিখে একই ভাবে আরো বীর্য লাগিবে বলিয়া পুনরায় ভয়ভীতি দেখিয়া ৩ জন মিলে পুনরায় ধর্ষণ করে। আবার ১৬/১০/১৮ ইং রাত্রি ১১,৪৫ মিনিটে পুনরায় তাবিজ দেওয়ার কথা বলে আবার ধর্ষণ করে ও গোপনে এসব দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে তাবিজ দিয়ে চলে যায়। পরে গত ৫ /১২/১৮ ইং তারিখে ধর্ষণকারীরা গোপনে ধারণ কৃত ভিডিও গ্রামের মানুষদের দেখায়।
ভিকটিম জানায়, আমি তখন বুঝতে পারি এরা জ্বিনের বাদশা। এসব ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার কারণে ধর্ষিতার স্বামী তাকে তার বাবার বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। এমন অবস্থায় ধর্ষিতা গত ১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার পলাশবাড়ী থানা পুলিশ অভিযোগ দিলে এ থানা পুলিশ গড়িমসি করে।
পরে ধর্ষিতা নিরুপায় হয়ে সাংবাদিকদের দারস্থ হয়। সাংবাদিকরা গত ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭ টার সময় বাদীকে সঙ্গে নিয়ে পলাশবাড়ী থানায় একটি ইজাহার দায়ের করেন। পুলিশ এখন পযন্ত কোন আসামী গ্রেফতার করতে পারেনি। গাইবান্ধা পুলিশ সুপার জানান, বিষয়টি আমি দেখিতেছি। নিচের ছবিতে ১ নং ধর্ষক ফুল মিয়া।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment