একুশে মিডিয়া, প্রতিবেদন:
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কা ও সিএনজির চাপায় গুরুতর আহত হয়ে পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে না–ফেরার দেশে চলে গেলেন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র আবদুল খালেক (১৪)। বুধবার (২০ আগস্ট) রাত ২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আবদুল খালেক কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড দৌলতপুর এলাকার বাসিন্দা আবদুর রহিমের ছেলে। দৌলতপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খালেক চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিল।
দুর্ঘটনার বিবরণ:
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ আগস্ট সন্ধ্যায় বড়উঠান সিএনজি স্টেশন সংলগ্ন টার্ফ মাঠে খেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তা পার হওয়ার সময় খালেককে একটি মোটরসাইকেল ধাক্কা দেয়। ধাক্কায় পড়ে যাওয়ার পর পেছন থেকে আসা একটি সিএনজি অটোরিকশা তার শরীরে চাপা দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হয়।
প্রথমে তাকে পটিয়ার একটি হাসপাতালে নেওয়া হলেও পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই শেষে বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
পরিবারের শোক:
বড়উঠান ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জোবাইদা আক্তার মিতু বলেন,
“খালেক আমার ভাতিজা। দুর্ঘটনার পর থেকে সে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ছিল। বুধবার রাতে আইসিইউতে মারা যায়।”
পুলিশের বক্তব্য:
বড়উঠান শাহমীরপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম জানান,
“দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা মোটরসাইকেলটি জব্দ করে পুলিশ ফাঁড়িতে জমা দিয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অকালপ্রয়াত খালেকের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহপাঠী ও শিক্ষকদের মধ্যে গভীর শোক বিরাজ করছে।
No comments:
Post a Comment