উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■:
নড়াইলের কালিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খান শামীম রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় উপজেলার নড়াগাতি থানা বিএনপির ৭৩ নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের হয়েছে।
শনিবার রাতে তিনি নিজে বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ওই রাতে অভিযান চালিয়ে নড়াগাতি থানা পুলিশ ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলা চেয়ারম্যান খান শামীম রহমান ওসি তার সরকারি গাড়ি নিয়ে নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের অসুস্থ সাধারণ সম্পাদক খাজা নাজিমুদ্দিনকে দেখতে পুটিমারি গ্রামে যাওয়ার পথে খাশিয়াল বাজারে যাত্রা বিরতি করেন।তখন নড়াইল ১ আসনের বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থক বিএনপি নেতাকর্মীরা কালিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খান শামীম রহমানের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে।
ওই সময় সঙ্গে থাকা তার ভাই খাশিয়াল ইউপির চেয়ারম্যান সুইট খান (৪৫), চাচাতো ভাই হিমু খান (৪৩) ও ভাইপো নাইম খানকে (২৫) হামলাকারিরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে । ওই ঘটনায় নড়াগাতি থানা বিএনপির সভাপতি খান মতিয়ার রহমানসহ ৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার রাতে নড়াইল ১ আসনের ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের ভাই আসলাম বিশ্বাস (৫০) ও বাঐসোনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সরাফাত হোসেন মোল্যাসহ ( ৪৫) ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ সময় নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, (পিপিএম) এ বিষয়ে আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রাকে জানান, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সহ জেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ শরফুদ্দীন, নড়াইলের কালিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খান শামীম রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে মামলার এজাহার নামীয় ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment