![]() |
রেখা মনি, রংপুর
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গাইবান্ধা অঞ্চলটা সবসময় দেখেছি যে, বন্যা, খরা, দুর্যোগে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এখানে দারিদ্রের হার অত্যন্ত চরম পর্যায়ে ছিল। আমরা সরকার গঠনের পর ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। যার ফলে এখন মঙ্গা, বন্যা, খরা আর হয়না। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আমরা সার্বিকভাবে দেশের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়িত করেছি।
নৌকা এবং যেখানে লাঙ্গল মার্কা আছে এই মার্কায় ভোট দিয়ে যদি আমাদেরকে জয়যুক্ত করেন আমরা সরকার গঠন করতে পারি। তাহলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে নির্বাচনী জনসভা বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের স্বাধীনতা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকার সুধাসদন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ শামসুল আলম হীরুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিকের সঞ্চালনায় জনসভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের প্রার্থী ফজলে রাব্বী মিয়া, গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনের মাহাবুব আরা বেগম গিনি, গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের প্রার্থী ইউনুস আলী সরকার, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের প্রার্থী শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের প্রার্থী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী। ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হওয়ার পর একটি প্রমান্যচিত্র দেখানো হয়।
এই গাইবান্ধায় অগ্নিসন্ত্রাস করে বহু মানুষকে হত্যা করে। এখানে চারজন পুলিশকে বিএনপির সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে। বাসে আগুন, গাড়ীতে আগুন ও পেট্রোলবোমা মেরে নিরীহ মানুষ হত্যা, এ ধরনের জঘন্য জঘন্য কাজ বিএনপি এই জায়গায় করেছে। এসব সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ কখনো মানুষের উন্নয়ন করতে পারে না। ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারেনা।
জনসভায় মহাজোটের প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার জন্য প্রার্থীরা সবার কাছে ভোট চান। সভায় জেলার সাত উপজেলার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment