উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■:>>>
কৃষকদের মুখে হাসি এনে দিয়েছে কালোজিরা। ওই এলাকার কৃষকরা দিন দিন কালোজিরা চাষে ঝুকছেন। কম খরচে বেশি লাভের জন্য মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদনে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে এ বছর চাষ হয়েছে কালোজিরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, নড়াইল জেলার বিভিন্ন মাঠে চাষ করা হচ্ছে কালোজিরা। কালোজিরা অনেকটা দেখতে ধনিয়া গাছের মত এবং সাদা সাদা ফুলে ভরে গেছে মাঠ। মৌমাছিরা গুন-গুন শব্দে মুখরিত করছে কালোজিরার ক্ষেত মধু আহরণে ব্যস্ত ওরা।
নড়াইলের ইতনা পূর্বপাড়ার কৃষক ইসমাইল শেখ’র সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে, তাই বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। বিঘা প্রতি ৮মন কালোজিরা উৎপাদন হয়ে থাকে। আমি এক বিঘা জমিতে কালোজিরা আবাদ করেছি, আশা করছি ভাল ফলন পাবো।
হিশাম চৌধুরী নামে এক কৃষক বলেন, আমার জমিতে কালোজিরা আবাদ করতে মোট খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। যদি কোনো প্রকার সমস্যা না হয়, আর বাজার মূল্য ঠিক থাকে তাহলে লক্ষাধিক টাকার বেশি বিক্রি করতে পারবো।
কালিপদ সরকার, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে বলেন, কালোজিরা চাষ করে বাজারে যে দাম পাওয়া যাচ্ছে, তাতে এ কালোজিরা আমাদের কাছে কালো সোনা।
অন্য কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্বল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন কালোজিরা চাষে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছে কৃষকরা। আগামীতে কালোজিরা চাষ দ্বিগুণ পরিমান জমিতে ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারনা করছে স্থানীয় চাষীরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় ৩৫ হেক্টর জমিতে মসলা জাতীয় ফসল কালোজিরা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ৪০ হেক্টর জমিতে কালোজিরা চাষ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার শিকদার ইমরানুর রহমান বলেন, এ উপজেলার মাটি কালোজিরা চাষের জন্য খুবই উপযোগী বলেই কৃষকরা কালোজিরা চাষ করেছেন। কম খরচে অধিক লাভের জন্য কৃষকরা ঝুকছেন কালোজিরার আবাদে। বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণে কৃষকদের মসলা জাতীয় ফসল চাষে উদ্বুদ্ধকরণ করা হয়ে থাকে। আগামী দিনে এ কালোজিরা উপজেলায় কালোসোনা নামে চিহ্নিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন এই কৃষি কর্মকর্তা।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment