শফিউর রহমান সেলিম, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:>>>
ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১১ যুবকের নিকট হতে আন্তঃজেলা প্রতারক চক্রের সদস্য মোঃ শাকিল আহম্মেদ (৩০) ও মোঃ জোসনা মিয়া (২৮) বিভিন্ন কোর্টের সীল ও কাগজ পত্র জালিয়াতি করে ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ৪৪ লাখ ৮০,হাজার টাকা আত্মসাৎ করে। এসকল অভিযোগে গত পরশু ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা সংস্থার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
জানাযায়, প্রতারক মোঃ শাকিল আহম্মেদ নিজেকে একজন জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ময়মনসিংহ এর কর্মচারী পরিচয় দিয়ে অপর প্রতারক সদস্যদের মাধ্যমে যুবকদের মধ্যে প্রচার করে যে, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের কার্যালয়ে বিভিন্ন গ্রেডে কিছু সংখ্যক লোকদের চাকুরী নিয়ে দিতে পারিবে। প্রতারক মোঃ শাকিল আহম্মেদ একজন জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ময়মনসিংহ দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মচারী এবং বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ, ময়মনসিংহ ড.আমির উদ্দিন সাহেবের অত্যন্ত প্রিভাজন ও বিশ্বাসী লোক বলে পরিচয় দেয় এবং প্ররতরক মোঃ আঃ জলিল বাংলাদেশ সচিবালয়ের একজন মতাধর কর্মকর্তা দাবী করতো।
গত ২৭ জানুয়ারী প্রতারকগণ সরকারী কার্যালয়ের জেলা জজ আদালত, ময়মনসিংহ স্টিকার লাগানো গাড়ী, যাহার রেজিষ্ট্রেশন নং- ঢাকা-চ-১৫-৫৯৬২ যোগে প্রতারনার স্বীকার যুবকদের ঢাকা সুপ্রিম কোর্টের মেইন গেইটে নিয়ে, ভবনের ২য় তলায় বারান্দায় দাঁড় করিয়ে চাকুরীর আইডি কার্ডের স্বার নেয় এবং যুবকদের ০৭(সাত) দিনের মধ্যে চাকুরী যোগদান সহ সার্বিক কার্যক্রম সম্পন্ন করার আশ্বাস প্রদান করে।
পুলিশ জানায়,প্রতারকদের কার্যক্রমে চাকুরীর প্রত্যাশী যুবকরা গত ইং ৩০ জানুয়ারী তারিখ ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানাধীন এম এ কাশেম (৭৫), পিতা মৃত-নেওয়াজ সরকার, সাং-১৮/ঝ-৬/১ তৃতীয় তলা বি ব্লক জেল রোড গলগন্ডায় প্রারকদের নিকট নগদ টাকা প্রদান করে।
এছাড়াও প্রতারকচক্রের সদস্যরা চাকুরীর প্রত্যাশী যুবকদের বিজ্ঞ জেলা জজ আদালত, ময়মনসিংহে চাকুরী হইয়াছে মর্মে কোর্টের পোশাক সমৃদ্ধ ছাই রংয়ের জেলা ও দায়রা জজ আদালত,ময়মনসিংহ লেখা হাফ হাতা শার্ট ও ফুলপ্যান্ট প্রদান করে।
কিন্তু প্রতারক চক্রের সদস্যারা চাকুরীর কথা বলে বিভিন্ন টালবাহানা করে ২/৩ দিন চাকুরীর প্রত্যাশী যুবকদের কৌশলে বাসায় আটক করে রাখিলে তাদের সন্দেহের সৃষ্টি হয়। চাকুরীর প্রত্যাশী যুবক মোঃ কায়দা আজম (২১ কৌশলে প্রারকচক্রের ভাড়া বাসা থেকে বাহির হয়ে ডিবি পুলিশের নিকট বিষয়টি অবহিত করিলে অফিসার ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার নির্দেশক্রমে এসআই(নিঃ) মোঃ মাসুদ জামলী, এসআই(নিঃ) মোঃ আবদুল লতিফ, এএসআই(নিঃ) মোঃ ফারুক হোসাইন সংগীয় ফোর্সসহ প্রতারকচক্রের ভাড়া বাসায় গিয়ে প্রতারক মোঃ শাকিল আহম্মেদ (৩০), ও মোঃ জোসনা মিয়া (২৮), দ্বয়কে আটক করে।
তাদের দেখানো মতে উক্ত বাসা হতে ০৬(ছয়)টি ছাই কালারের হাফ হাতা শার্ট, জেলা জজ আদালত, ময়মনসিংহ লেখা ও ০২(দুই)টি ছাই কালারের ফুলপ্যান্ট, ০৫ (পাঁচ) টি সীল যাহার প্রতিটিতে যথাক্রমে বাংলায় ডাক্তার মোঃ জাকির মিঞা, এমবিবিএস,এফসিপিএস মেডিসিন, জেলা জজ আদালত, ময়মনসিংহ, মোঃ সিরাজুল হক ক্যাশ নাজির প্রশাসন,ময়মনসিংহ, টি শহিদুল ইসলাম অনুবেদনাধীন কর্মকর্তা জে.জ আঃ ময়ঃ ১২৩২৪৫ জঃ কাঃ জেলা জজ আদালত,ময়মনসিংহ, ডাঃ জাকির হোসেন এমবিবিএস (ঢাকা) বিসিএস (স্বাস্থ্য) এফসিপিএস, মেডিসিন এমডি (হ্যাপাটলজি) বাংলাদেশ হাইকোর্ট, সুপ্রীম কোর্ট বিভাগ, ঢাকা বাংলাদেশ, মোঃ সামিউল হাসান কোর্ট ইনচার্জ অফিসার বাংলাদেশ হাইকোর্ট, সুপ্রীম কোট বিভাগ ঢাকা বাংলাদেশ, ১২টি নিয়োগ পত্র যাহার প্রতিটিতে ছবি সংযুক্ত, ৬ (ছয়) টি আইডি কার্ড যাহার প্রতিটিতে ছবি সংযুক্ত ও জেলা জজ আদালত, ময়মনসিংহ লেখা আছে, ০৭ (সাত) টি সার্ভিস বহি যাহার প্রতিটির উপরে সার্ভিস বহি মূল্য প্রতি বই ২০ (বিশ) টাকা লেখা আছে, ০১ (এক) টি হাজিরা খাতা যাহার উপরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার লেখা আছে, ০৬ (ছয়)টি বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন ফরম যাহার প্রতিটির উপরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মনোগ্রাম অংকিত, ০১(এক)টি রেজিষ্টার বহি যাহার উপরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার আইন ও বিচার বিভাগীয় মন্ত্রনালয় জেলা জজ আদালত,ময়মনসিংহ সংস্থাপন ও অস্থায়ী কর্মচারীদের রেজিষ্টার বহি লেখা উদ্ধার করেন। উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে ৩ প্রতারকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মোঃ কায়দা আজম (২১), পিতা-শাহা আলী সরকার, মাতা-মোছাঃ আকতারা খাতুন, সাং-নান্দিনা, থানা-সরিষাবাড়ী, জেলা-জামালপুর বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় নিয়মিত মামলা রুজুর জন্য এজাহার দায়ের করেন।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment