মোঃ মনিরুল ইসলাম, কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:
কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া সাগর কন্যা দ্বীপের অলীকুল স¤্রাট, সুলতানের আরেফীন শাহ আব্দুল মালেক মুহিউদ্দিন আজমী (রাহঃ) এর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১৮, ১৯ ফেব্রুয়ারী দুইদিন ব্যাপী ১৯তম বার্ষিক ফাতিহা। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ফাতিহা উপলক্ষে কুতুব শরীফ দরবার এন্তেজামিয়া কমিটির নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক প্রস্তুতির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। মালেক শাহ হুজুরের বার্ষিক ফাতিহায় প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ-বিদেশ থেকে ১০-২০ লক্ষ আশেক ও ভক্তগণ আসা-যাওয়া করে। ফাতিহা উপলক্ষে কুতুব শরীফ দরবারে নেওয়া হয় বিভিন্ন আয়োজন, যার মধ্যে রয়েছে স্কুল-মাদরাসার ছাত্রদের হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিত, ইসলামিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, নামাজের সু-ব্যবস্থা, ২দিন ব্যাপি মাহফিল, জিকির, পরিচালকের আখেরি মোনাজাত, প্রত্যেকের জন্য তাবরুকের ব্যবস্থা, উপজেলা/জেলা ভিত্তিক প্যান্ডেল, আনচার পুলিশদ্বারা নিরাপত্তাসহ প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ জানান।
কুতুব শরীফ দরবারের যুগ্ন পরিচালক, শাহজাদা জিল্লুল করিম আল মালেকী, মালেক শাহ হুজুরের ১৯তম দুইদিন ব্যাপী বার্ষিক ফাতিহা নিশ্চিত করে বলেন- হযরত আবদুল মালেক শাহ্ আল-কুতুবী ১১ই জুলাই ১৯১১ ইংরেজি সনে কুতুবদিয়ায় জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯শে ফেব্রুয়ারী ২০০০ ইংরেজি ৭ ফাল্গুন ১৪০৬ বঙ্গাব্দ, ১২ই জিলক্বদ ১৪২০ হিজরী চট্টগ্রাম শহর খুলশি হলিকেসিন হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন। তিনি বৃহত্তর চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশে কুতুবদিয়ার শাহ সাহেব হুজুর নামে সর্বাধিক পরিচিত ও একজন বিখ্যাত আধ্যাত্মিক এবং কামেল ব্যক্তি। তিনি ধূরুং ছমদিয়া আলিম মাদরাসা, দারুল উলুম আলীয়া মাদরাসা চট্টগ্রাম, দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসার ছাত্র এবং কুতুবদিয়া লেমশীখালীর হামিদিয়া মাদরাসায় শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর বার্ষিক ফাতিহা শরীফে দাওয়াত ও সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। ১ম পর্ব।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment