রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ। একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Monday 11 February 2019

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ। একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, রাবি প্রতিনিধি:>>>
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ সংক্ষেপে রাকসু নামে পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয়  থেকে সৎ, মেধাবী এবং দেশপ্রেমিক ছাত্র নেতৃত্ব তৈরির উদ্দেশ্যে ১৯৬২ সালে রাকসু প্রতিষ্ঠিত হয় । ১৯৯০ সালের পর থেকে সংগঠনটির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
১৯৫৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইতরাৎ হোসেন জুবেরীর কাছে ছাত্র সংসদের দাবি উত্থাপন করা হলেও ১৯৫৭ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী আতাউর রহমান খানের হস্তক্ষেপে ১৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ঐ বছরই অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রথম ভিপি হিসেবে মনিরুজ্জামান মিয়া ও জিএস হিসেবে আব্দুর রাজ্জাক খান নির্বাচিত হন।
১৯৫৮ সালে জেনারেল আইয়ুব খান সামরিক শাসন জারি করার ফলে ১৯৫৮-৬২ সাল পর্যন্ত রাকসুর কার্যক্রম বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে ক্যাম্পাসে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন শুরু হলে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ছাত্র সংসদ চালু করতে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদর নিকট জোর দাবি জানায়। ছাত্র-ছাত্রীদের দাবির প্রেক্ষিতে ১৯৬৩ সালের প্রথম দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুনরায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) কার্যক্রমের অনুমতি দেয়।
১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠার পরে এখন পর্যন্ত মোট ১৪ বার রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পদাধিকার বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাকসু’র সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। সদস্যরা সরাসরি ভোট দিয়ে সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এবং অন্যান্য পদ নির্বাচন করেন। রাকসু সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ১৯৮৯ সালের নির্বাচনে রুহুল কবির রিজভী আহমেদ ও রুহুল কুদ্দুস বাবু এক বছরের জন্য যথাক্রমে ভিপি ও জিএস নির্বাচিত হয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭০ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। এছাড়া সামরিক শাসনের জন্য ১৯৭৫-১৯৮০ এবং ১৯৮১-১৯৮৮ সাল পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত ছিল।
রাকসু নির্বাচনে এ পর্যন্ত ১৬ মেয়াদে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নেতাকর্মী নেতৃত্বে ছিল।  
১৯৫৬-১৯৫৭ মেয়াদে ভিপি এবং জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মো. মনিরুজ্জামান মিয়া, মো: আব্দুর রাজ্জাক খান, ১৯৫৭-১৯৫৮ আবুল কালাম চৌধুরী, মো. আব্দুর রাজ্জাক খান। ১৯৬২-১৯৬৩ শেখ মো. রুস্তম আলী, মো. বজলুর করিম।
১৯৬৩-১৯৬৪ সৈয়দ মাজহারুল হক, মো. আব্দুর রউফ। ১৯৬৪-১৯৬৫ আব্দুর রাজ্জাক, বায়েজীদ আহম্মদ। ১৯৬৫-১৯৬৬ আবু সাঈদ, সরদার আমজাদ হোসেন। ১৯৬৬-১৯৬৭ বায়েজীদ আহম্মদ, আব্দুস সাত্তার। ১৯৬৭-১৯৬৮ এ.এফ.এম জামিরুল ইসলাম, মো: আব্দুর রহমান। ১৯৬৮-১৯৬৯ মো: আব্দুর রহমান, জালাল উদ্দিন সেলিম। ১৯৬৯-১৯৭০ মীর শওকত আলী, আব্দুস সামাদ। ১৯৭২-১৯৭৩ মো: হায়দার আলি, আহম্মদ হোসেন । ১৯৭৩-১৯৭৪ নুরুল ইসলাম ঠান্টু, শামসুল হক টুকু। ১৯৭৪-১৯৭৫ ফজলুর রহমান পটল, রফিকুল ইসলাম। ১৯৮০-১৯৮১ ফজলে হোসেন বাদশা, আবুল কালাম আজাদ। ১৯৮৮-১৯৮৯ রাগীব আহসান মুন্না, রুহুল কুদ্দুস বাবু। ১৯৮৯-১৯৯০ রিজভী আহম্মদ, রুহুল কুদ্দুস বাবু।



একুশে মিডিয়া/এমএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages