ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৬ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দত্তনগর ফাঁড়ি পুলিশের ৪ সদস্যকে ডিমোশন করা হয়েছে। অভিযুক্ত এসআই মাহফুজুল হককে এএসআই ও এএসআই নুরুন্নবীকে কনস্টেবল এবং ২ কনস্টেবলের ৫ বছর ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৬ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা শহরের ওয়াজের আলী নামে এক ব্যবসায়ী ১৬ লাখ টাকা নিয়ে জীবননগর আসার পথে উথলি থেকে দত্তনগর ফাঁড়ির এএসআই নুরুন্নবীর নেতৃত্বে ব্যবসায়ীকে বাস থেকে নামিয়ে টাকা ছিনিয়ে ফাঁড়িতে নিয়ে ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রথমে ৭ লাখ টাকা ফেরত দেয় পুলিশ সদস্যরা।
মহেশপুরের তৎকালীন ওসি আহম্মেদ কবির ও সংবাদকর্মীরা সোচ্চার ভূমিকা নিলে বাকি ৯ লাখ টাকাও ফেরত দেয়। পত্রিকার সূত্র ধরে ৪ পুলিশের নামে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয় এবং কোটচাঁদপুর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দিনের উপর তদন্তভার দেয়া হয়। তিনি খোঁজ-খবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা আছে মর্মে পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে। এ সূত্র ধরে বর্তমান পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান সম্প্রতি অভিযুক্ত এসআই মাহফুজুল হক ওরফে মাসুদকে ডিমোশন করে এএসআই ও এএসআই নুরুন্নবীকে ডিমোশন করে কনস্টেবল এবং ২ কনস্টেবলের ৫ বছর ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করেছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
No comments:
Post a Comment