এবিএস রনি, যশোর জেলা প্রতিনিধি:>>>
যশোর জেলার ট্রাক, ট্র্যাংকলরী ট্রাক্টর ও কভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের অনুষ্ঠিত ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন ২০১৯ইং নির্বাচনে ভোট কারচুপি ও হামলার প্রতিবাদে নির্বাচন স্থগিত চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার দুপুর ১২ টার সময় বেনাপোল সীমান্ত প্রেসক্লাব প্রাংঙ্গনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, (রেজি: নং খুলনা-১৯) যশোর জেলা ট্রাক,ট্র্যাংকলরী,কভার্ড ভ্যান, ট্রাক্টর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি পদ প্রার্থী মোঃ শাহিন ও সাধারন সম্পাদক প্রার্থী তরিকুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে শাহিন বলেন, আজ ১ লা মার্চ (রেজি: নং খুলনা-১৯) যশোর জেলা ট্রাক ও ট্র্যাংকলরী, ট্রাক্টর, কভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের ঝিকরগাছা প্রধান কার্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ২০১৯-২১ মেয়াদের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে ব্যাপক ভোট কারচুপি করা হয়েছে।
৩ হাজার দুইশত ২৭ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ভোটার এমনকি অনেক প্রার্থীরাও তাদের ভোট দিতে পারেনি। অনেক ভুয়া ভোটার কার্ড বিহীন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে।
সংবিধান বহির্ভূত একটি নির্বাচন করে কারচুপির মাধ্যমে ফলাফল নিজেদের পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, মোস্তফা-জাহাঙ্গীর পরিষদের সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে ভোট কেন্দ্রে ঝাঁপিয়ে পড়ে আমাদের প্যানেলের শ্রমিকদের উপর, তারা হামলা চালিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে আমাদের শ্রমিকদেরকে বের করে দিয়েছে।
এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় আমাদের প্রায় ৫০ জন শ্রমিক আহত হয়েছে। নিবার্চন নিজেদের পক্ষে নেয়ার জন্য সকাল ৮ টার সময় নির্বাচন হওয়ার সময় নির্ধারন থাকলেও নির্বাচন সকাল ৯টার সময় শুরু করে তারা। শাহিন-তরিকুল পরিষদ এই ভোট কারচুপি,সন্ত্রাসী কায়দায় ভোট দানে বাধা ও শ্রমিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে নির্বাচন বাতিল করে পূর্ণরায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
অন্যথায় শ্রমিকেরা বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে কঠোর কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে বলে তারা সীমান্ত প্রেসক্লাব বেনাপোলে সংবাদ সম্মেলনে জানান। এব্যপারে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি’র সভাপতি একেএম আমানুল কাদীর টুলুর নিকট লিখিত অভিযোগ দিলেও তিনি গ্রহন করিনি। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, যশোর জেলা ট্রাক, ট্র্যাংকলরী, ট্রাকটর, কভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, শ্রমিক সংগঠন ও সাধারন শ্রমিকবৃন্দ।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment