একুশে মিডিয়া, রিপোর্ট:>>>
স্বাধীনতা বাঙালির স্বাধীনতা অর্জন এক মহাকাব্যের প্রতিকৃতি। যার ভেতরে রয়েছে নানা সংগ্রাম, ইতিহাস ও গৌরবের ইতিবৃত্ত। পৃথিবীর সকল দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস এক নয়। বাংলাদেশের ইতিহাস এক কালজয়ী ইতিহাস।
বাংলাদেশের এই মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও চেতনায় এবং বাংলাদেশের গোড়পত্তনে রয়েছে কালজয়ী হাজারো জাগরণের গান ও লাখো মুক্তিযোদ্ধাদের অমূল্য অবদান। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে এবং ইতিহাস যতদিন কথা বলবে ততদিন জাগরণের গান ও মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান জাতি আজীবন শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে। চেরাগী চত্বরে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও ডিজিটাল বাংলাদেশ পাবলিসিটি কাউন্সিল কর্তৃক আয়োজিত জাগরণের গান ও মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা অনুষ্ঠানে বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম বিভাগ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ পাবলিসিটি কাউন্সিলের উদ্যোগে কালো রাত্রী ও মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে গত ২৫ মার্চ বিকাল ৫টা থেকে রাত ১২টা ১ মি. পর্যন্ত চেরাগী চত্বরে জাগরণের গান ও মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ডিজিটাল বাংলাদেশ পাবলিসিটি কাউন্সিলের সভাপতি ও নারীনেত্রী হাসিনা জাফরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক কবি নাজিমুদ্দিন শ্যামল, ২১নং জামাল খান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, ১২নং সরাইপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ নুরুল আমিন, ১১নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব অধ্যাপক মোঃ ইসমাইল, ৩৫নং বক্সিরহাট ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফয়েজ উল্লাহ চৌধুরী বাহাদুর, চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের এডিশনাল পিপি এড. সাইফুন নাহার খালেক, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী মোঃ সাহাবউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফোরকান, যুগ্ম সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক শাহজাহান সাজু।
সভায় বক্তারা বলেন, বাঙালির জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস আজ বিশ্ববাসীর কাছে গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অসীম সাহসে যুদ্ধ করে নিরস্ত্র হয়েও বিজয় অর্জন সম্ভব তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা।
বাংলাদেশ স্বাধীনতার পথ ধরে এখন অনেক মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশের কাছে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। একটি ক্ষুদ্র ও দরিদ্র রাষ্ট্র হলেও বাংলাদেশ আজ সংগ্রাম ও দৃঢ় সাহসে উন্নত দেশের কাতারে বাংলাদেশ।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স.ম. জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় ও পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ও সঙ্গীত পরিবেশনায় অংশ নেন, মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা এস.এম. হারুন উর রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা এস.এম. লিয়াকত হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম মাস্টার, আন্তর্জাতিক আইনজীবী ড. মোঃ সেলিমুদ্দিন খান, আইনজীবী এড. অরুন কান্তি সরকার, এড. আইয়ুব কুতুবী, রূপন কান্তি দাশগুপ্ত, সুভাষ চৌধুরী টাংকু, সুমন দত্ত, মুহাম্মদ আবদুর রহীম চৌধুরী, সুমন চৌধুরী, মোঃ জামাল উদ্দিন, অভিজিৎ দে রিপন, সমীরণ পাল, কবি সজল দাশ, দিলীপ সেনগুপ্ত, আনোয়ারা বেগম, শিল্পী কাজল দত্ত, শিল্পী মুন্নী দেবী, শিল্পী মিম সিনহা, শিল্পী রুদ্র ধর, শিল্পী কাজল শীল, শিল্পী জয়দেব দাশ, শিল্পী রুবেল ধর প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে স্বাধীনতা স্মারক সম্মাননা প্রদান করা হয়।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment